কিরণ সেখ: ‘কানাডাতে পদ্মা সেতুর ওপর যে রায় হয়েছে, সেই রায়ে কোনো মন্তব্য করতে চায় না বিএনপি। তবে পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংক যে অভিযোগ তুলেছে তার শেষ দেখতে চায় দলটি। পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের মামলা নাকচ করে কানাডার আদালতের রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এ কথা বলেন।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ তদারকির পাঁচ কোটি ডলারের কাজ পেতে এসএনসি-লাভালিনের কর্মীরা ২০১০ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে মামলা হয়েছিল কানাডার আদালতে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে কানাডার আদালত গত শুক্রবার ওই মামলার তিন আসামিকে খালাস দেয়। শামসুজ্জামান দুদু বলেন, কানাডার আদালত পদ্মা সেতুর দুর্নীতি মামলার রায় বিবেচনা করেই দিয়েছেন। তবে গণমাধ্যমে দেখলাম, বিশ্বব্যাংক এখনো তাদের সিদ্ধান্তে আছে। এ কারণে এই বিষয়ে আমরা এখনো পরিষ্কার নই। সুতরাং সব কিছু দেখেই আমরা মন্তব্য করবো। তবে পদ্মা সেতুর দুর্নীতির কারণে বহির্বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ অনেক ছোট হয়েছে। যার ফলে এর শেষ হওয়া দরকার। এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কোনো আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আমরা কখনোই কোনো উক্তি করিনি। কোথায় কি প্রমাণ হলো এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। তখন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, এটা নিয়ে তখন কথা বলেছিলাম। বিশ্বব্যাংক প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিল।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, কানাডার আদালতের রায়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, কানাডাতে পদ্মা সেতুর ওপর যে রায় হয়েছে সেখানে দেখুন প্রধানমন্ত্রী তনয় ‘সজীব ওয়াজেদ জয়’ বলছেন, ক্ষমা চাইতে হবে। কারণ কী? যারা সেদিন বড় গলায় কথা বলেছেন, দুর্নীতি দুর্নীতি বলে চিৎকার করেছেন, ড. ইউনূস থেকে শুরু করে বিরোধী দলকে তিনি এটা বলছেন। আমার বক্তব্য, এই অভিযোগটা তো করেছিল বিশ্বব্যাংক। সেই বিশ্বব্যাংককে বলুন না কেন? তাদের ব্যাখ্যা কী? সম্পাদনা: এনামুল হক