আল হেলাল শুভ: পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে ড. মুহাম্মদ ইউনূস, টিআইবিসহ যে সকল বুদ্ধিজীবী ষড়যন্ত্র করেছিলেন তাদের এখন জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হয়েছে। গতকাল দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ ব্যক্তিকে ই-মেইল চালাচালি করেছিলেন। এ ষড়যন্ত্রের অন্যতম নায়ক তিনি।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ- টিআইবি পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিল এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, টিআইবির কিছু বুদ্ধিজীবী ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব দুর্নীতি প্রমাণ হওয়ার আগেই দুর্নীতি হয়েছে তা প্রমাণ করার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছিলেন। তখন ওই প্রকল্প বন্ধ হওয়ার কারণ তারাও। সব চেয়ে বড় কথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ প্রকল্পের অর্থায়ন বন্ধ একটি সমন্বিত ষড়যন্ত্রের ফল বলেও এ সময় উল্লেখ করে তিনি।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের অপতৎপরতার কারণে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করেছে। এতে প্রকল্পের কাজ দুই বছর পিছিয়েছে। দেশ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। যদিও এটা সরকারের দায়িত্ব।
এই রায়ের পর বিএনপির অবস্থান প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন যখন বলেছিল, এতে কোনো দুর্নীতি হয়নি, তখন তারা মানেনি। বলেছে, সরকারের প্রভাবে দুদক এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে। কানাডার আদালতের রায়ের পরও তারা একই মনোভাব প্রকাশ করেছে। এর অর্থ তারা দেশ ও বিদেশের কোনো আদালতই মানে না। আসলে এরা গ্রাম্য মোড়লদের মতো। নিজেদের বিবেচনার বাইরে যেতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সামসুন্নাহার চাঁপা, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ। সম্পাদনা: এনামুল হক