উম্মুল ওয়ারা সুইটি: ভাষার গুরুত্ব বোঝাতে ছোটবেলা থেকেই শিশুদের প্রভাতফেরিতে নিয়ে যেতে হবে। খালি পায়ে হালকা ঠা-া হাওয়ায় আমরা যখন প্রভাতফেরিতে যেতাম তখন অন্যরকম এক ভালো লাগা তৈরি হতো। সবাই সাদা পোশাক পরে ব্যানার ফেস্টুন হাতে নিয়ে শহিদ মিনারে ফুল নিয়ে লাইন ধরে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতাম। সেই থেকেই দেশের প্রতি, ভাষার প্রতি কোমল মনে জমে গেছে দেশের প্রতি অপার টান। এখন দিবস পালনে অনেক বৈচিত্র্য এসেছে। তাই শিশুদের নিয়ে সবারই প্রভাতফেরিতে যাওয়া দরকার।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, প্রভাতফেরিতে যাওয়ার কত যে স্মৃতি আমাদের রয়েছে, রাতভর এর বাগান ওর বাগান থেকে ফুল সংগ্রহ করা। রাতধরে ফুলের স্তবক তৈরি করতাম। তখন তো পাকিস্তান পিরিয়ড, মনে হতো এই ভাষাটা পেয়েছি যখন স্বাধীনতাও পাব। এখনো আমি ২১শে ফেব্রুয়ারি শহিদ মিনারে গেলে সেদিনের গন্ধ পাই।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, একুশের প্রভাতফেরি ছিল আমাদের একটি কাক্সিক্ষত দিন। পুরো পরিবার শহিদ মিনারে ফুল নিয়ে হাজির হতাম। মা (ভাষা সৈনিক সুফিয়া কামাল) বলতেন, ভাষা পেয়েছি আমরা স্বাধীনতাও পাব। পরিবারের ছোটবড় সবাইকে নিয়ে প্রভাতফেরিতে যাওয়ার যে উত্তাপ তা ভুলতে পারব না। শিশুদের মধ্যে এই খালি পায়ে প্রভাতফেরিতে যাওয়া নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠত। এর উত্তর পেলে তাদের মধ্যে ভাষা, জাতীয়তাবোধ , মর্যাদার অহংকার খেলা করত। এখনো করে। তাই প্রভাতফেরিতে পরিবার নিয়ে বিশেষ করে ছোটদের নিয়ে আসা উচিত।