ইসমাঈল হুসাইন ইমু: জঙ্গিবাদকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। গতকাল সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, বাংলাদেশের জঙ্গিবাদকে আমরা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। তবে এটিকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করতে হলে আমাদের আরো অনেক কাজ করতে হবে। আরো অনেক সময় লাগবে। এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এইভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই ব্যাপারে আমি জনগণের কাছে সক্রিয় সহযোগিতা আশা করব।
কমিশনার বলেন, বিট পুলিশিং ও কমিউনিটিং পুলিশিং এর মাধ্যমে জনগণকে সাথে নিয়ে ডিএমপি অপরাধ দমনে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে ডিএমপি’র ৪৯টি থানায় ২৮৭টি বিট রয়েছে। প্রতিটি থানায় ৫ থেকে ৭টি বিট আছে। বিট অফিসাররা এলাকার মানুষের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে এলাকা ভিত্তিক সমস্যা সমাধান করছে।
নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের ব্যাপারে কমিশনার বলেন, কিছু দিন আগেও আমাদের কাজে নগরবাসীর তথ্য ছিল না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা নাগরিক তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করি। বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়া তথ্য সংগ্রহের জন্য ২২ লাখ ফরম বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণকৃত ফরমের মধ্যে ১২ লাখ ফরমের তথ্য আমাদের ঈওগঝ সফটওয়ারে সংরক্ষণ করা হয়েছে। প্রতিটি নাগরিককে একটি ইনডেস্ক নাম্বার দেওয়া হবে। যাতে করে সে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বাসা পরিবর্তন করে চলে গেলে ওই ইনডেস্ক নাম্বার দিয়ে তাকে শনাক্ত করা যাবে। আমাদের এই মনিটরিংয়ের অর্থ কাউকে সন্দেহ করা নয়, এটা নিরাপত্তা প্রদানের জন্য।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ জনগণসহ তরুণদের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতার্কিকরা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে নানা ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারে।
সংলাপে ইডেন মহিলা কলেজ, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইবাইস ইউনিভার্সিটি ও সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি বিতার্কিকরা অংশ গ্রহণ করে। সম্পাদনা: এনামুল হক