ডেস্ক রিপোর্ট:ভিসা নীতিতে মার্কিন মুলুকে কর্মসূত্রে ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রেও রাশ টানতে চলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। এর প্রভাব দেখা গেল আমেরিকায় জন্ম ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাসার ইঞ্জিনিয়ার সিড বিকান্নাভারের উপর। আজকাল
সিড তার ব্যক্তিগত কাজে আমেরিকা থেকে চিলি গিয়েছিলেন। ফেরার সময় আমেরিকার কাস্টটম এবং বর্ডার প্যাট্রল ()কে আটক করে। দীর্ঘক্ষণ তাকে বসিয়ে রেখে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। সিড বিকান্নাভার অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে বলেন,‘চিলি গিয়েছিলাম ব্যক্তিগত কাজে। বর্তমানে নাসার জেট প্রোপুলসন ল্যাবে (জেপিএল) কর্মরত। বৈধ কাগজ ও পাসপোর্টও দেখাই।’সিডের দাবি, এরপর অভিবাসন অফিসার আমার মোবাইল ফোন নিয়ে নেয় ও তার গোপন পিন নম্বর জানতে চায়। কিন্তু নাসার নিয়ম অনুযায়ী তাদের দেওয়া ফোনের গোপন পিন নম্বর কাউকে দেওয়া যাবে না বলার পরও দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখে সীমান্তে থাকা অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। শেষে গোপন পিন বলার পর আমাকে ছেড়ে দেয়। সিড বিকান্নাভার তার অভিজ্ঞতা কথা নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন। সিড জানায়,‘জন্ম থেকে আমেরিকার নাগরিক। নাসার ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত। আমার বৈধ পাসপোর্ট রয়েছে। আমার ফোনে গোপন পিন নম্বর, তার তথ্য সম্পূর্ণ জানার পর আমাকে ছাড়ে অভিবাসন দপ্তর। সম্পূর্ণ ঘটনার বিষয় আমি নাসার জেপিএলের কর্তৃপক্ষকে জানাই।’ আমেরিকায় থাকা প্রবাসীদের পাশাপাশি চরম ভোগান্তির শিকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন তথ্য-প্রযুক্তির কর্মীরা। ট্রাম্পের প্রশাসনের তৈরি এই নয়া অভিবাসন নির্দেশিকায় এইচ-ওয়ানবি ও এল-ওয়ান ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে রাশ টানার পাশাপাশি বাড়ানো হবে কড়া নজরদারি। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যে অভিবাসন আইন আমেরিকায় চলছে, ট্রাম্পের এগজিকিউটিভ অর্ডার সেই নীতির বিরোধী। সম্পাদনা: মাসুম মুনাওয়ার