ঢাকা-যশোর সড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ ধুলায় বিপর্যস্ত জনজীবন
মালেকুজ্জামান কাকা, যশোর : খানাখন্দে ভরা মহাসড়কে মাস দুয়েক আগে সংস্কার কাজ শুরু হলে স্বস্তির নি.শ্বাস ছাড়েন যশোরের ঢাকা রোডস্থ ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। কিন্তু সেই সংস্কার কাজই এখন তাদের কাল হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থান খোঁড়াখুড়ি করে ফেলে রাখা হয়েছে দিনের পর দিন। যার প্রভাবে এলাকা এখন ‘ধুলোর সাগর’। ইতোমধ্যে এর থেকে নিস্তার পেতে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধও করেছেন। জানা যায়, ঢাকা রোডের মনিহার থেকে পালবাড়ি মোড় পর্যন্ত সংস্কারের উদ্যোগ নেয় সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এই পাঁচ কিলোমিটার সংস্কার কাজের জন্য আট কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
টেন্ডার শেষে মাস দুয়েক আগে কাজও শুরু হয়। কিন্তু হঠাৎ করে মন্ত্রণালয় থেকে টেন্ডারে ত্রুটি ধরা পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় কাজ। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রী ও স্থানীয়দের। শহরের কাঁঠালতলা জামে মসজিদের সামনে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের এই অংশের কার্পেট তুলে ফেলা হয়েছে। কিন্তু কাজ শুরুর পরপরই বন্ধ হয়ে যায়। এখন সেখানে ধুলো আর ধুলো। রিকশাচালক আবু বক্কর বলেন, ‘আগে ছিল খানাখন্দ। চলাচলে কষ্ট হতো। তবে এখন যা হয়েছে তা জীবনঝুঁকি। রাস্তার পাশে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে চোখ, নাক, মুখ ধুলোবালিতে ভরে যায়। খাজুরা বাস্টস্যান্ড এলাকা থেকে মনিহারের দিকে বেশ খানিকটা এগুলেই পূর্ববারান্দিপাড়া। এখানকার ব্রিজের দুই পাশে সড়কের পিচ তুলে ফেলা হয়েছে। যেখান দিয়ে শত শত বাস, ট্রাক, ইজিবাইক, রিকশা যাতায়াত করে। যার কারণে দুপুরের দিকে ওই এলাকা ধুলোর প্রভাবে অন্ধকার হয়ে যায়। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য স্থানীয়রা মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচিও পালন করেন। তবে বাস্তবতা বদলায়নি। এখন ধুলোর প্রভা বেড়েছে, চলে যাচ্ছে আশপাশের বাড়িতেও। জানতে চাইলে সড়ক ও জনপদ বিভাগ যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী ইকবাল বলেন, ‘ধুলোর কারণে স্থানীয়দের সমস্যার কথা বিবেচনা করে সড়কে পানি দেওয়া হচ্ছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কার্যাদেশ পাওয়া যাবে বলে মনে করছি। তখন কাজ আবার শুরু হবে।’ সম্পাদনা: মুরাদ হাসান