পদ্মা সেতু নিয়ে জটিলতা না করলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতো ৮ শতাংশ : প্রধানমন্ত্রী
সাইদ রিপন: এক ব্যক্তির ব্যক্তিস্বার্থে আঘাত লাগাতে পদ্মা সেতু প্রকল্প আটকে দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। কিন্তু আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। যদি নির্দিষ্ট সময়ে সেতুর কাজ শুরু হতো তাহলে ২০১৬ সালেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল করতো। কিন্তু তাদের জন্য তা সম্ভব হয়নি।
গতকাল শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভার শুরুতে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের অহেতুক অভিযোগের কারণে অন্যায়ভাবে একজন সচিবকে ১ বছর জেল খাটতে হয়েছে। একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক জটিলতা সৃষ্টি না করলে, দেশের উন্নয়নে আমরা উচ্চ শিখরে পৌঁছে যেতাম। এবং চলতি অর্থবছরেই জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতো ৮ শতাংশ।
একনেক বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল জানান, আজকের একনেক সভাটি বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদে শততম সভা। ১০০টি সভায় মোট ৭৩৩টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। সর্বসাকুল্যে প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩ শত নয় কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছন। তিনি বলেন, প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়নের ফলে দেশের মানুষ সুফল পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান, চলমান অগ্রগতির অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সুদৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেছেন এবং উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে আরো দ্রুততার সাথে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। একনেক সদস্যবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ, সচিব এবং সিনিয়র সচিববৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: এনামুল হক