উম্মুল ওয়ারা সুইটি: নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজ হওয়া উচিত নিজেদের নিরপেক্ষতার স্বাক্ষর রাখা। কমিশন নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ও নানা প্রশ্ন উঠেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে দলীয় পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। তাছাড়া তড়িঘড়ি নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এইসব সন্দেহ সংশয় দূর করতে নতুন কমিশনকেই উদ্যোগ নিতে হবে। বিশিষ্টজনরা বলেছেন, কমিশন চাইলে প্রথমেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসি সংলাপের আয়োজন করতে পারে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করতে পারে ইসি।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, শপথ নেয়ার আগেই সিইসি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তাছাড়া সার্চ কমিটিও প্রশ্নবিদ্ধ। তাই এই নির্বাচন কমিশনকে খুব সতর্কতার সঙ্গে সামনে এগুতে হবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ এবং নাগরিক সমাজের মতামত নিলে ইসির জন্য ভালো হবে। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইসিতে আস্থা অর্জনের উপায় বের করতে হবে। এরইমধ্যে যে বিরোধিতা ও বিতর্ক শুরু হলো তা সিইসি এবং নতুন ইসিকে তা মোকাবিলা করতে হবে। তিনি বলেন, সবগুলো রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা করতেই পারে ইসি। অতীতে আমরা করেছিলাম।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতিকে আস্থায় নিয়েছি। সেজন্য আমরা নাম প্রস্তাব করিনি। তাই প্রত্যাশাও একটু বেশি। আমরা চাই নতুন নির্বাচন কমিশন বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নেবে। এটা শুধু রাজনৈতিক দলের বিষয় নয়। দেশবাসী একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। ইসি সেটা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে তাদের মতামত নিতেই পারে। সম্পাদনা: এনামুল হক