মাংস ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট গরুর মাংস সংকট, ৮শ টাকা কেজিতেও মিলছে না খাসি, মুরগিতেও আগুন
হামিদুর রহমান: রাজধানীতে মাংস ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট চলছে। ফলে জবাই হয়নি গরু ও ছাগল। মাংসের সংকট বিবাহের অনুষ্ঠানসহ খাবারের দোকানে। খুব প্রয়োজনে দ্বিগুন টাকাতেও মিলছেনা গরুর, খাসির মাংস। ফলে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা।
সরেজমিন গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে পাওয়া গেছে এমন চিত্র। নাজিমউদ্দিন রোডের নান্না বিরিয়ানীর ম্যানেজার মো. শাহেদ আমাদের অথর্তনীতিকে বলেন, আমাদের শতকরা ৬০ শতাংশ কাস্টমার হচ্ছে খাসির। গত ৪ দিন আগেও খাসির মাংস কিনতাম ৬০০ টাকা দরে। আর এখন ৮০০ টাকা দিয়েও পাচ্ছি না। আগের চেয়ে এখন মুরগির মাংসে দিতে হচ্ছে কেজি প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি। চানখাঁরপুলে মামা বিরিয়ানীর ম্যানেজার রেজ্জাক জানান, গত সপ্তাহে গরুর মাংস কিনেছি ৪৫০ টাকা দরে, এরপর বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৫০০ টাকা। ধর্মঘটের কারণে এখন গরু, খাসি জবাই হচ্ছে না। আগে হাফ প্লেট তেহরি বিক্রি করতাম ৬৫ টাকায় এখন ৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তারপরও অনেক কাস্টমারকে ফেরৎ দিতে হচ্ছে। স্টকে যে পরিমাণ মাংস আছে তাতে দু’দিন চলা মুসকিল। তবুও দোকান চালু রাখতে কম কম করে বিক্রি করছি। দু’দিন আগে কাওরান বাজরে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৪০ টাকা। অথচ দুদিনের ব্যবধানে গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা দরে। ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে লেয়ার, পাকিস্তানি কক এবং দেশি মুরগিরের দাম।
কাওরান বাজারে মাংস কিনতে আসা এক হোটেল ব্যবসায়ী জানান, গরুর মাংস না থাকায় মুরগি বেশি কিনতে হচ্ছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তো রেগুলার কাস্টমার, তাই ১০ টাকা বেশি রাখছে। অন্যদের কাছে আরও বেশি দাম রাখছে।
রাজধানীর কাপ্তান বাজারে মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিটি করপোরেশনের ইজাদাররা গরু, মহিষ প্রতি আড়াই হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা বেশি টোল আদায় করছে। তাছাড়া ভারতীয় গরুর আমদানি কমে যাওয়ায় এমনিতেই দেশি গরুর দাম বেশি। আগে প্রতিটি গরুর চামড়া ১৮শ থেকে দুই হাজার টাকা আর খাসির চামড়া ৩৫০ থেকে ৪শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অথচ এখন গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪শ টাকাতে আর খাসির চামড়া বিক্রি করছি মাত্র ৩০ টাকায়। এসব কারণে আমাদের মাংস বিক্রিতে অনেক বেশি লোকসান দিতে হয় যদি আমরা বেশি দামে মাংস বিক্রি না করি। সম্পাদনা : আনিসুর রহমান তপন