উম্মুল ওয়ারা সুইটি: পদ্মা সেতুর দুর্নীতির বিষয়ে বিশ্বব্যাংককে যারা মামলা করার বিষয়ে বুদ্ধি দিয়েছেন তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। কারণ তারা দেশের ভালো চায় না। যদি এমনও হয় কোনো গোষ্ঠী বা চক্র একটি রাজনৈতিক সরকারকে বিপদে ফেলতে এই কাজ করে থাকে- তাতেও তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। জনগণের সামনে এসব শত্রুদের মুখোশ উন্মোচন করা উচিত।
পদ্মা সেতুর দুর্নীতি বিষয়ে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসসহ যেসব প্রভাবশালীদের নাম এসেছে তাদের বিষয়টি স্পষ্ট করার পক্ষে এভাবেই মত দিয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনরা। তারা বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের করা মামলাটি কানাডার আদালতে খারিজ হয়ে গিয়েছে। কাজেই এটা এক ধরনের জয় হয়েছে। তাই এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রসঙ্গ খুব জরুরি নয়। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান ও অর্থনীতিবিদ এই প্রতিবেদককে বলেন, বিশ্বব্যাংকের বিষয়টি কি করবে তা সরকারকে বুঝে-শুনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাছাড়া এই সেতুর কাজ দেরি হওয়ায় বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধির লোকসান গুনেছে। বিশ্বব্যাংক অবশ্যই এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশের যারা বিশ্বব্যাংককে এই দুর্নীতির জন্য উস্কানি দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তারা দেশের শত্রু।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, দেশীয় শত্রুদের মুখোশ খুলে দিতে হবে। তিনি বলেন, ড. ইউনূস যদি এ ঘটনায় কোনো প্রভাব খাটিয়ে থাকে তাহলে কেন তাকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে না। তিনি বলেন, যত প্রভাবশালী হোক দেশের উন্নয়নের পথকে যারা থামাতে চায় তারা যত বিখ্যাতই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল হক বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে ড. ইউনূস জড়িত। পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছিল। এই ষড়যন্ত্র কাউকে দুর্নীতিবাজ হিসেবে আখ্যা দেওয়ার জন্য ছিল না। এটি ছিল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। তাই তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। তাদের প্ররোচনায় সেদিন বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে। এটা শুধু আওয়ামী লীগ সরকার এবং শেখ হাসিনা কেন্দ্রিক দেখলে হবে না। এরসঙ্গে বাংলাদেশের সম্মান যুক্ত। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে।