চালের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে না : খাদ্যমন্ত্রী
তরিকুল ইসলাম সুমন: এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পাইকারি বাজারের চালের দাম বৃদ্ধি করছে। তারা মনে করছে, কোনো রকম একটা অবস্থার সৃষ্টি করে আমরা যেন মোটা চালের আমদানি শুল্কটা প্রত্যাহার করি। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই শুল্ক প্রত্যাহারের কোনো প্রশ্নই আসে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশ চালকল মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী। বাজারে মোটা চালের দাম বাড়ানোর বিষয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, বাজারে চিকন চালের দাম খুব একটা বাড়েনি। গত বছরের এ সময়ের তুলনায় মোটা চালের দাম দুই থেকে আড়াই টাকা বেড়ে সাড়ে ৩৪ টাকা হয়েছিল। এ মুহূর্তে পাইকারি বাজারে চালের দাম সাড়ে ৩৩ টাকা। মোটা চাল সরকার ক্রয় করছে ৩৩ টাকায়।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাজারে মোটা চালের দাম বেশি হওয়ার কারণ হলো, গত বছর এ সময়ে বিনা শুল্কে ভারত থেকে চাল এসেছে আড়াই থেকে তিন লাখ মেট্রিক টন। শুল্ক আরোপ করায় আমদানি নেমে এসেছে মাত্র ৩৭ হাজার মেট্রিক টনে। খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ফ্রি স্টাইলে মোটা চাল নিয়ে আসায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো। চালের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছিল। এবার ট্যাক্স আরোপ করার ফলে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। আমরা কৃষকদের লাভবান করতে চাই। দাম একটু বেশি থাকলে কৃষরা লাভবান হয়। কৃষকরা অত্যন্ত খুশি হয়। কাজেই আগামী দুমাস পর বোরো মৌসুমে সংগ্রহ শুরু হলে মোটা চালের বাজারে কোনো অসুবিধা হবে না।
মিল মালিকদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সংকট হবে না। চালের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। মোটা চালের কোনো সমস্যা হবে না। এই মুহূর্তে প্রায় নয় লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে। সম্পাদনা: এনামুল হক