দুই সপ্তাহে অর্ধশত ট্রলারে ডাকাতি : মুক্তিপণের দাবিতে ২০ জেলে অপহরণ
ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার: জলদস্যুরা দলবদ্ধ হয়ে বঙ্গোপসাগরে নির্বিচারে ফিশিং ট্রলার ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় শত শত ফিশিং ট্রলার গত দুই সপ্তাহ পূর্বে সাগরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে যায়। সাগরের বিভিন্ন এলাকায় জলদস্যুদল কয়েকটি ট্রলার নিয়ে নির্বিচারে ডাকাতি কার্যক্রম চালানোর সময় কুতুবদিয়ার উপকূলের ছোট-বড় অর্ধশত ফিশিং ট্রলার ডাকাতের কবলে পড়েছে বলে জেলেরা উপকূলে ফিরে এসে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিবিএন প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেন। বর্তমানে জেলেরা জলদস্যুদের মারধর ও অপহরণের ভয়ে সাগরে মাছ ধরতে যাচ্ছে না। গত দুই দিনে কুতুবদিয়া উপকূলের অমজাখালী গ্রামের ছালে আহমদের মালিকানাধীন এফ.বি মায়ের দোয়া, আমান উল্লাহর মালিকানাধীন এফ.বি সাগর, নুরুল আবছারের মালিকানাধীন আল্লাহর দান, নুরুল বশরের মালিকানাধীন এফ, বি জাহান ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মলমচর এলাকার চার ফিশিং ট্রলারের জেলে নাছির মাঝি, গফুর মাঝি, শাহাব উদ্দিন মাঝি, বাবুল মাঝিসহ ২০ জেলেকে অপহরণ করে জলদস্যুরা মুক্তিপণের জন্য মহেশখালী দ্বীপের হাসেরচরের গহীন প্যারাবনে আটকে রাখে। বর্তমানে ট্রলারের মালিক ও জেলে পরিবার মুক্তিপণের টাকা বিকাশ নম্বারে পাঠানোর জন্য জলদস্যুরা বারবার তাগাদা দিয়ে যাচ্ছে। জেলে অপহরণ বিষয়ে বৃহস্পতিবার অমজাখালী গ্রামের নুরুল বশর, ছালে আহমদ, আমান উল্লাহ কুতুবদিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অপহৃত জেলে বাবুল মাঝি জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাগর থেকে মাছ ধরে উপকূলে ফিরে আসার পথে কুতুবদিয়া চ্যানেলের মুখে পৌছলে অস্ত্রধারী জলদস্যুরা ট্রলার নিয়ে তাদের ট্রলারে হামলা চালায়। মালামাল লুট করে তাকে (বাবুল মাঝি) জলদস্যুদের ট্রলারে তুলে নিয়ে মহেশখালী দ্বীপের পশ্চিমে হাসেরচর নামক স্থানে ঝাউবাগানে আটকে রাখে। জলদস্যুদের বিকাশ নম্বারে ট্রলারের মালিক আব্বাস কোম্পানী জলদস্যুদের টার্গেট মোতাবেক টাকা দিয়ে তাকে (বাবুল মাঝি) ছাড়িয়ে আনেন। বর্তমানে জেলে অপহরণ আতঙ্কে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ হওয়ায় উপকূলের হাজার হাজার জেলে বেকার হয়ে পড়েছে। উপকূলের ফিশিং ট্রলারের মাঝি নুরুল হক সিবিএনকে জানান, গত এক মাস ধরে জলদস্যুরা সাগরে নির্বিচারে ডাকাতি শুরু করেছে। সম্পাদনা : শাহীন আলম