বরুড়া প্রতিনিধি : কুমিল্লার বরুড়ায় এক মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবন-যাপনসহ অর্থের অভাবে বিনাচিকিৎসায় দিন কাটাচ্ছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্বার সংসদ কমান্ড এর প্রত্যায়ন পত্র ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিলন এর সুপারিশসহ মুক্তিযোদ্বা মন্ত্রনালয়ে নতুন তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছে ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা। জানা যায়, জেলার বরুড়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধের ৪৭ বছরেও তালিকায় নাম নেই ঝলম ইউনিয়নের মহিদপুর গ্রামের মৃত চান মিয়া সরদার ও রুপজান বিবির ২ পুত্র আলী আশ্রাফ সরর্দার ও আবুল হাসেম সরর্দার ১৯৭১ সালে সক্রিয় ভাবে বর্তমান স্থানীয় সংসদ নূরুল ইসলাম মিলন তৎকালীন থানা কমান্ডরের সাথে ২ নং সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করে। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পালা টানা, হাতীমারায় ক্যাপ্টেন সুজাত আলীর অধীনে ২ নং গ্রুপে ২১ দিন ট্রেনিং করার পর নির্ভয়পুর হলডিং ক্যাম্প থেকে বরুড়ায় পয়াল গাছা কলেজ,আড্ডা, ঝলম, দেওড়া মোবারক চেয়ারম্যনের বাড়ি থেকে কমান্ড কাউন্সিলের সাথে বিভিন্ন অপারেশনে যোগ দেয় এবং বরুড়া অঞ্চলের খবরা খবর এপার ওপার আদান প্রদান করেন । চান্দিনার দেরেরায় পাকবাহানীর সৈন্যরা আগুণ দিলে আলী আশ্রাফ ও আবুল হাসেম পাকবাহীনির সৈন্যদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এসময় তাদের সাথে পাকহানাদারদের গুলি বিনিময় হয়। এসময় পাকবাহিনী তাদের কে ঝলম ইউনিয়নের খলারপাড় এলাকায় ঘেরাও করে আলী আশ্রাফ, ছেরূ মিয়া, জয়নালসহ অজ্ঞাত আরো একজনকে গুলি করে মেরে ফেলে। আবুল হাসেম পালিয়ে থাকে পরে তার ভাইয়ের লাশ নিয়ে নিজ বাড়ি মহিদপুরে গেলে স্থানীয় রাজাকারদের সহয়তায় পাকহানাদার বাহিনী বাড়িতে হামলা করে। হাসেম তখন ভাইয়ের লাশ ফেলে পরিবার নিয়ে ঝলম আইয়ুব আলী চেয়ারমেনের বাড়িতে চলে যায় । দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছর পর আবুল হাসেম জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়া চলে যান সেখানে বৈধতা না পেয়ে অবৈধ ভাবে কাজ করার সময় মালাই পুলিশ আটক হয়। কিছুদিন জেল খাটার পর দেশে ফিরে আসে এবং ট্রাক চালনা শুরু করে এবং মুক্তিযুদ্ধার তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্ত করার জন্য হন্য হয়ে উপজেলা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল অফিসসহ বিভিন্নস্থানে ঘুরাঘুরি করে। বর্তমানে বৃদ্ধা আবুল হাসেম বার্ধক্ষ্য জনিত কারণে এখন আর ড্রাভিং করতে পারেন না । সম্পাদনা: শাহীন আলম