ঠেঙ্গারচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর সম্ভব নয় : বন বিভাগ
সাজ্জাদুল হক : বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা নতুন দ্বীপ ‘ঠেঙ্গারচর’ জোয়ারের পানিতে ডুবে যায়। এটি এখনও মানুষের বসবাসের উপযোগী নয়। ফলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঠেঙ্গারচরে স্থানান্তর সম্ভব নয়। সরকারকে এমনটাই জানিয়েছেন বন বিভাগ।
জনবসতি শূন্য এই দ্বীপের বয়স মাত্র ১১ বছর। ১০ হাজার একর আয়তনের এই দ্বীপে গত ছয় বছরে প্রায় ৫ হাজার একর ম্যানগ্রোভ বাগান করেছে বন বিভাগ। সাধারণত এমন দ্বীপ স্থায়ী হতে ৪০ থেকে ৫০ বছর সময় লাগে।
রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে গত ৬ ফেব্রুয়ারি রিপোর্ট দিয়েছে নোয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগ। তাতে বলা হয়ছে, এই চরটি প্রতিনিয়ত জোয়ার ভাটায় নিমজ্জিত হয়। শুষ্ক মৌসুমে কিছু অংশ উঁচু দেখা গেলেও অমাবস্যা-পূর্ণিমার অতি জোয়ারে এবং পূর্ণ বর্ষা মৌসুমে পুরোপুরি ডুবে যায়। ভেসে যায় ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে। কোন ফসল হয় না, নেই পানীয় জলের ব্যবস্থাও। উত্তর ও পশ্চিম তীরে প্রচুর ভাঙন অব্যাহত। মোট কথা ঠেঙ্গারচর মানব বসবাসের উপযোগী নয়। এখানে মাছ ধরতে আসা জেলেরাও জানালেন, ভরা জোয়ারে এই চরের অধিকাংশ জায়গা তলিয়ে যায়। তবে মাটি ফেলে উঁচু করে চারপাশে বাঁধ দিয়ে দিলে মানুষ থাকতে পারবে।
ইঞ্জিন চালিত নৌযান ছাড়া আসা যায় না দূর্গম এই দ্বীপে। তাই ঠেঙ্গারচর হয়ে উঠেছে জলদস্যুদের নিরাপদ আস্তানা। ডাকাতি, অপহরণ এখানে নিত্য ঘটনা। পুলিশি নিরাপত্তা ছাড়া এখানে আসা মোটেই নিরাপদ নয়।
যদিও সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে দ্বীপটিকে বসবাসের উপযোগী করে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করা হবে। তৈরি করা হবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। কিন্তু জলোচ্ছ্বাসে যখন সব ভেসে যাবে, তখন কি হবে? সূত্র : চ্যানেল টোয়েন্টিফোর