সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুজন কৈরী: স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। গতকাল রাজধানীর তেজগাঁও আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।
এসআই হত্যা মামলার অভিযোগে কেন বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাবুলের বিরুদ্ধে যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই আইন মোতাবেক তার বিরুদ্ধে কাজ করবে প্রশাসন। আইন সবার জন্যই সমান। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে। অপহরণ ও হত্যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জড়িত থাকার অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অপহরণ ও হত্যায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধীকে শাস্তি পেতেই হবে।
মন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু দেশপ্রেম ও কর্তব্য পালনে অনেকেই দেশের জন্য জীবনও দিচ্ছে। তিনি আরও জানান, পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাছে না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কাউকে গ্রেফতার করি না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না এবং ভবিষ্যতেও দেব না।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ জুন চট্টগ্রামের জিইসি মোড় এলাকায় বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত ইতোমধ্যে অনেক দূর এগুলেও এখন পর্যন্ত হত্যাকা-ের সঙ্গে বাবুলের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ। তবে সম্প্রতি গণমাধ্যমে বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশারফ হোসেন বলেন, বাবুল আক্তারের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। তাই দিন দিন মিতু হত্যায় বাবুলের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি জোরালো হচ্ছে। বাবুলের শ্বশুরের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যখনই আসে, তখনই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নেব। আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। সে পুলিশ অফিসার হোক, কিংবা সামরিক অফিসার হোক, কিংবা সে সমাজের উচ্চপর্যায়ের মানুষ হয়ে থাকুক কিংবা রাজনীতিবিদ হয়ে থাকুক।
অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, কানাডার সর্বোচ্চ আদালত ঘোষণা করে দিয়েছেন, কোনো দুর্নীতি হয় নাই। কোনো দুর্নীতির প্রচেষ্টাও এখানে হয় নাই। তাহলে প্রশ্ন জাগে, কেন আমাদের প্রকৌশলীরা, আমাদের সম্মানিত তখনকার মন্ত্রী, কেন এই দুর্নামের ভাগী হলেন? এ সবগুলো একটা ষড়যন্ত্র ছিল। আজকে প্রমাণিত হয়েছে। সম্পাদনা: এনামুল হক