আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নিñিদ্র নিরাপত্তায় থাকবে রাজধানী
সুজন কৈরী: কাল অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ উপলক্ষে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব-পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন থাকবে। আজ রাত ৮টা থেকে আগামীকাল বেলা ২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাবেন।
গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে শহীদ মিনার ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। পোশাকে ও সাদা পোশাকে আট হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। শহীদ মিনার ও বেদী কেন্দ্রিক, শাহবাগ, দোয়েল চত্বর ও চানখারপুল এলাকায় এই নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে। প্রতিটি প্রবেশ মুখে আর্চওয়ে থাকবে। এছাড়া গেটের বাইরেও তল্লাশি চলবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণসহ আশপাশের সকল এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মহিলাদের দেহ তল্লাশির ক্ষেত্রে প্রতিটি গেটে পর্যাপ্ত সংখ্যক নারী পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। তবে আমাদের ডগ স্কোয়াড, সোয়াট টিম, সাদা পোশাকে পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ বিশেষ নজরদারির আওতায় আনার লক্ষ্যে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া থাকবে পেট্রল টিম। আমরা আশা করি সুশৃঙ্খলভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করতে পারবো।
লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকা- মামলার সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, অভিজিৎ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন আমাদের অভিযানে নিহত হয়েছে। দু-একজন আটক আছে। বাকিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
শহীদ মিনারে বিশৃঙ্খলাকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে কমিশনার বলেন, যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা রোধে আমরা বদ্ধপরিকর। নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য সকলকে আহবান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও এর আশপাশ এলাকায় অধিকতর নিরাপত্তার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। স্থাপিত সিসিটিভি সমূহ ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা ও আজিমপুর কবরস্থানে বোম্ব ডিসপোজাল টিম এবং ডগ স্কোয়াড দ্বারা সুইপিং করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ভাব গাম্ভীর্যের সাথে উদযাপনের লক্ষ্যে শহীদ মিনারের আশপাশে সকল ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড বহন নিরুৎসাহিত/নিষিদ্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের পত্র দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে। সম্পাদনা: এনামুল হক