নারী উন্নয়ন কর্মীরা তাদের কর্মস্থলেই যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: এক বছর আগে মেগান নোবার্ট সহকর্মীর কাছেই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তিনি দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষী বাহিনীর সাথে সাহায্য কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি বলেন, তাকে চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে তার সহকর্মী ধর্ষণ করেছিল। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে চাপ দেওয়া হয়, বিষয়টি গোপন রাখতে। পরে সে তার মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়। আর সঙ্গে সঙ্গে বলে যেন বাবাকে বিষয়টি জানানো না হয়। কারণ বাবা জানতে পারলে নোবার্ট আর গ্রহণ করবে না।
নোবার্ট জরিপ সংস্থার কাছে বলেন, শুধু তিনি নন, এরকম অনেক মেয়ে রয়েছেন। যারা অফিস সহকর্মীদের দ্বারা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত। নোবেটের মতে, সাহায্য সংস্থার কর্মীরা আসলে একটি ছোট গোষ্ঠী। নোবেটে আমি যে তাঁবুতে থাকতাম তার খুব কাছেই তার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা থাকতেন। তিনি প্রায় রাতে এসে নোবেটের দিকে তাকিয়ে থাকতো।
তারপর একদিন সে সুযোগ বুঝে নোবার্টকে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ায়। পরে প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছিল যে, সে মরফিন, কোডিন, অক্সিকোটিন এরকম কয়েকটা ওষুধের এক ধরনের সংমিশ্রন ব্যবহার করেছিল। তারপর মেগানকে খাইয়েছিল।
মেগান বলেছে, এটি সাহায্য সংস্থার নারীদের জন্য অনেক বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলা হয়েছে, সাহায্য সংস্থার কর্মীদের জন্য ইদানিং যৌন হেনস্তা বা ধর্ষণের ঘটনা মোকাবিলার বাড়তি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। জরিপে দেখা গেছে, এসব হয়রানির ৫৪ শতাংশ ঘটনার জন্য নিজের সংস্থার সহকর্মীরাই দায়ী। লন্ডনে এমন একটি কেন্দ্রের প্রশিক্ষক ক্যাথরিন প্লামারেজ আরও বলেছেন, উন্নয়ন কর্মীদের যদি যৌন হয়রানির শিকার হওয়া প্রতিরোধ করতে বেশি বেশি প্রশিক্ষণ দরকার।