ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার পক্ষে ট্রাম্প প্রশাসনের কাজ করার অভিযোগ
প্রিয়াংকা আচার্য্য: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী এবং একজন প্রাক্তন ব্যবসায়িক সহযোগী গতমাসে নিউইয়র্কে ইউক্রেনের সংসদ সদস্যের সঙ্গে এক গোপন বৈঠকে শান্তি আলোচনা বিষয়ে আলোচনা করেছেন যাতে ২০১৪-তে রাশিয়ার দখলকৃত এলাকা দীর্ঘদিনব্যাপী নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মস্কোর বিরুদ্ধে নেয়া নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রুশ বাহিনী ক্রিমিয়ার স্থানীয় বিদ্রোহী প্রশাসনের সহযোগিতায় ওই ভূখ- দখল করে এটিকে রাশিয়া ফেডারেশনের অংশ বলে ঘোষণা দেয়। এর আগে পর্যন্ত ক্রিমিয়া ছিল ইউক্রেনের অংশ। এর পর থেকে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া ও ন্যাটো। ইউক্রেনে থেমে থেমে সংঘর্ষের ঘটনাও রয়েছে অব্যাহত।
ইউক্রেনের রাজনীতিক আন্দ্রি ভি. আর্তেমেনকোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ২০০৭ সাল থেকে নিযুক্ত ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের আইনজীবী মাইকেল কোহেন এবং ট্রাম্প রিয়েল এস্টেট প্রোজেক্টের প্রাক্তন সহযোগী ব্যবসায়ী ফেলিক্স সাতের। তাদের এ বৈঠকের ব্যাপারে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে নিউইয়র্ক টাইমস গত রোববার।
সংবাদ সংস্থা টাইমস জানিয়েছে যে, কোহেন বলেছেন, তিনি খামে বন্দি প্রস্তাবনাটি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের তৎকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের কাছে হস্তান্তর করেন। এদিকে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে তাদের বৈঠকের কিছুদিন পরই গত সপ্তাহে ফ্লিন পদত্যাগ করেন। রোববার সংবাদমাধ্যমকে কোহেন বলেছেন, ১৫ মিনিট স্থায়ী এ বৈঠকটি হয়েছিল নিউইয়র্কের এক হোটেলে। তবে হোয়াইট হাউসের মুখবন্ধ কোনো খাম তিনি জমা দেননি। বিষয়টি ‘ভুয়া খবর’ বলে তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ার সঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠতাই ফ্লিনের পদত্যাগের প্রধান কারণ। ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার বরাবরই সুসম্পর্ক ছিল। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো, এফবিআই এবং কংগ্রেস এখন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এ কারণে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের অনেকেই এখন রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিকে আলোচনার টেবিলের বাইরে রাখতে চাইছেন। ইউক্রেনে তিন বছরের সংঘাতে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার লোক মারা গেছে। রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে অবনতি ঘটার মূলেও আছে ইউক্রেন সঙ্কট। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস, ইন্ডিপেন্ডেন্ট, ওয়াশিংটন পোস্ট, রয়টার্স