ইমরুল শাহেদ: ভারতের বৃহৎ রাজ্য তামিলনাড়–র রাজনৈতিক পরিস্থিতি আবারও ঘোলাটে হতে শুরু করেছে বলে মনে হচ্ছে। ক্ষমতাসীন এআইডিএমকে দলের নেত্রী শশীকলাকে কর্নাটকের জেলে খুনের আসামি সায়ানাইড মল্লিকার পাশের কক্ষে রাখা হয়েছে বলে দলীয় সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অন্যদিকে মাদ্রাজ হাইকোর্ট পালানিসামীর আস্থাভোটের ভিডিও ফুটেজ তলব করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর আস্থাভোট ভুয়া ও বলপূর্বক দাবি করে মাদ্রাজ হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ডিএমকে নেতা দ্রাভিডা মুন্নেত্রা কাজাঘাম এবং আইনজীবী ফোরামের এক সদস্য। আস্থা ভোটের দিন বিরোধীরা হেনস্থা হয়েছেন, এই অভিযোগে অনশনে বসেছে ডিএমকে নেতৃবৃন্দ।
আজকালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার প্রশ্নে জেলে শশীকলার পাশের কুঠুরি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সায়ানাইড মল্লিকাকে। ছজনকে খুনের অভিযোগে ফাঁসির আদেশ হয়েছিল সায়ানাইড মল্লিকার। যার আসল নাম মল্লিকা কেডি কেমপম্মা। পরে সেই আদেশ রদ হয়ে যায়। বেঙ্গালুরুতে পরপ্পনা অগ্রহরা সেন্ট্রাল জেলের যে কুঠুরিতে রাখা হয়েছে শশীকলাকে, ঠিক তার পাশেই এতদিন ছিল মল্লিকা। এতে শশীর জীবনসংকট হতে পারে বলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তার সমর্থকরা। তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রায় সকলের অলক্ষ্যেই মল্লিকাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে উত্তর কর্নাটকের বেলগাভির হিন্দালগা জেলে। জানা গেছে, জেলে আসার পর থেকেই চিনাম্মার সঙ্গে ভাব জমানোর চেষ্টা করছিল মল্লিকা। আজকালের অপর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধী দল ডিএমকের মামলার প্রেক্ষিতে মাদ্রাজ হাইকোর্ট ভিডিও ফুটেজ তলব করেছে বলে জানা গিয়েছে। মামলার শুনানি চলাকালীন মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, তার কাছে প্রমাণ রয়েছে আস্থাভোটের নির্ধারিত নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছে। এমনকি অনেক এডিএমকে বিধায়ককে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তারা। আস্থাভোটে জেতার জন্য ১১ জন এডিএমকে নেতাকে গোল্ডেন বে রিসর্টে আটকে রাখা হয়েছিল। মুক্তির পর কাভাথুর থানায় তারা অভিযোগও জানিয়েছেন বলে দাবি আইনজীবীর। আগামী সোমবার সেই প্রমাণ আদালতে পেশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন মামলাকারীর আইনজীবী কে বালু। নতুন করে আস্থা ভোটের দাবি জানিয়েছেন ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন। রাজ্যপালের গঠন করা কমিটির নজরদারিতে সেই ভোট করারও দাবি জানিয়েছেন তিনি। তিরুচিতে তার নেতৃত্বে এখন অনশন চলছে এবং এই অনশনকে ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই ছিল উত্তেজনা। বিপুল পরিমাণে পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়। আগামী তিনদিন ধরে এই অনশন চলবে বলে জানিয়েছে দলটি। আস্থা ভোটের দিন দুবার করে তামিল বিধানসভা মুলতবি করা হয়। ধাক্কাধাক্কি হয়, স্ট্যালিন অভিযোগ করেন, তার জামা টেনে ছিঁড়ে দিয়েছে বিধানসভার মার্শালরা। অন্যদিকে স্পিকার ধনপাল অভিযোগ করেন, তাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছে বিরোধীরা। সেই সূত্রেই ডিএমকে বিধায়কদের বের করে দেওয়া হয় বিধানসভা থেকে। সূত্র: আজকাল