শিক্ষকদের মধ্যে যৌন হয়রানির অভিযোগ বাড়ছে
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: শিক্ষকদের মধ্যে যৌন হয়রানির প্রবণতা বাড়ছে। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা অভিভাবক বা স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা পায় না। রাজধানীর একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী জিনিয়া আলম। এক শিক্ষকের কাছে তারা ৬ জনের একটি ব্যাচ প্রাইভেট পড়ে। প্রাইভেট না পড়লে ওই শিক্ষক নম্বর দিতে চান না। ফলে বাধ্য হয়েই তার কাছে প্রাইভেট পড়ে সবাই।
জিনিয়া বলেছে, শুধু প্রাইভেটই নয় ওই শিক্ষক মেয়েদের নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে। বাজে প্রস্তাব দেয়। জিনিয়া বলে, তাকেও ওই শিক্ষক ইভটিজিং করেছে এবং তাকে কু প্রস্তাব দিয়েছে। বিষয়টি সে প্রথমে তার মাকে বলে। মা সেটি বাবার সঙ্গে আলোচনা করে। তারা উল্টো মেয়েকে সাবধান করে এবং বলে দেয় বিষয়টি যেন কেউ না জানে।
কিন্তু তারপরও ওই শিক্ষকের অসদাচরণের মাত্রা বেড়ে যায়। এরপর জিনিয়ার বাবা-মা স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানায়। কিন্তু প্রধান শিক্ষকও বিষয়টি মেনে নিতে পারে না। তিনি বলেন, এই বয়সের মেয়েদের নানা ধরনের জটিলতা থাকে। আমার এই শিক্ষক খুবই ভালো। শত শত মেয়ে পড়ছে, তাদের তো কোনো অভিযোগ নেই। আপনার মেয়ের সমস্যা থাকতে পারে। তাকে ভালো করে বোঝান। না হয়, স্কুল থেকে নিয়ে যান। জিনিয়া বলে, শুধু সে নয়-তার আরও অনেক সহপাঠী এই রকম অভিযোগ করেছে। সবাইকেই এ ধরনের মন্তব্য শুনতে হয়েছে সব অভিভাবককে। অনেককে স্কুল ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আজকের নয়। তবে এখন স্কুল পর্যায়েও এই অভিযোগ বাড়ছে। রাজধানীর অনেক পরিচিত স্কুলে হাতে নাতে শিক্ষকরা ধরা পড়লেও তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি না হওয়ায় এর প্রবণতা বাড়ছে। স্কুল ম্যানেজমেন্ট ও শিক্ষকদের নিজেদেরই উচিত এ বিষয়ে কঠোর হওয়া।