ভারতে মন্ত্রীদের নিয়োগের কোটা বেড়ে হচ্ছে ১৫
অরিজিৎ দাস চৌধুরি, কলকাতা থেকে : আগে বছরে ১০ জনকে চাকরি দিতে পারতেন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার মন্ত্রীরা। এখন থেকে সেটা বেড়ে হচ্ছে ১৫। প্রশাসনের ভেতরের খবর, সম্প্রতি গ্রুপ-ডি (চতুর্থ শ্রেণি) পদে নিয়োগের ‘কোটা’ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এর ফলে একেকজন মন্ত্রী ওই পদে আরো নিয়োগের সুযোগ পাবেন। আধিকারিক মহলের একাংশের অন্দরে আলোচনা, পরীক্ষার মাধ্যমে না হলেও এটাও এক ধরনের ‘কর্মসংস্থান’!
এতদিন পর্যন্ত গ্রুপ-ডি পদে বছরে দু’জনকে নিয়োগ করার ক্ষমতার ভোগ করতেন রাজ্য মন্ত্রিসভার প্রতিটি সদস্য। এবার সেই ‘কোটা’ই বাড়িয়ে তিন করার পথে এগোচ্ছে রাজ্য। যদিও এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে সরকারি নির্দেশ জারি হয়নি। তবে মন্ত্রিসভার একটি বৈঠকে সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবটি সরকারি সিলমোহর পেয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই ‘কোটা’ বাড়লে পাঁচ বছরের মেয়াদে এক মন্ত্রীর পক্ষে ১৫টি পরিবারকে আয়ের সুনিশ্চিত সংস্থান করে দেওয়া সম্ভব। সবকটি দফতর মিলিয়ে এতে বহু পরিবারই উপকৃত হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে যা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
ওই ধরনের নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম বছর নবনিযুক্ত ব্যক্তি দু’হাজার টাকা করে পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। তার পর থেকে সরকারের নিয়মিত কর্মী হিসেবে তাদের গ্রাহ্য করে প্রশাসন। অর্থাৎ সেই সময় থেকে সরকারি ‘স্কেলে’র (গ্রুপ-ডি’র জন্য নির্ধারিত) আওতায় সরাসরি চলে আসেন নিযুক্তরা। সরকারের নিয়মে বেতন বৃদ্ধি, পদোন্নতিসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও মেলে। অবসরের পরে পেনশনের সুবিধাও ভোগ করতে পারবেন তারা। রাজ্য মন্ত্রিসভার এক সদস্যের কথায়, ‘সরকারি স্কেল অনুযায়ী, অবসরের আগে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা মাসিক বেতন পাবেন এই পদ্ধতিতে নিযুক্ত সংশ্লিষ্ট কর্মী। সেই হিসাবে অন্তত ১৭-১৮ হাজার টাকা পেনশনও পাবেন তারা। একটা সংসার বেঁচে থাকার পর্যাপ্ত রসদ পাবে।’
এক মন্ত্রীর কথায়, ‘এই ধরনের নিয়োগ খুব বুঝেশুনে করা হয়। প্রকৃত অর্থে যাদের চাকরির প্রয়োজন তাদেরই ওই পদ্ধতিতে নিয়োগ করার কথা ভাবা হয়। সেদিক থেকে দেখলে বিষয়টিকে ‘পাইয়ে দেওয়া’র রাজনীতি বলা যায় না। এটা সরকারের একটা মানবিক দিক। ‘কোটা’ বাড়লে তা হবে মানবিক প্রয়োজনেই।’