অভিবাসীদের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নির্দেশনা জারি
এম রবিউল্লাহ: অবৈধ, কাগজপত্রবিহীন বা নথিভুক্ত হয়নি এমন অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ও বহিস্কারের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ নতুন নির্দেশনা জারি করেছে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি জন কেলী নির্দেশনায় কী কী বিষয়ে গুরুত্বের ভিত্তিতে করতে হবে তা উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছে যাদের প্রথমে বহিস্কার করা হবে তাদের চিহ্নিত করা। এসব কাজে বাড়তি ১০ হাজার কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে আভিবাসন কর্মকর্তার কাজ করার নির্দেশনা।
এই নির্দেশনায় প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রতিষ্ঠিত ডিফারেড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড এরাইভাল (ডিএসিএ) এর আওতায় যারা পড়েছেন তারা সুরক্ষিত থাকবেন। এর আওতায় রয়েছেন সাড়ে ৭ লাখ তরুণ-তরুণী যারা বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। তারা অপ্রাপ্তবয়সে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল। তারা এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে।
জন কেলীর নির্দেশনায় প্রস্তাবিত যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকো দেয়াল তোলার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। সীমান্তে নিরাপত্তা দিতে আরো ৫ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ১ কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসীর সবাই এর আওতায় পড়তে পারেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, বহিষ্কারের জন্য প্রথম লক্ষ্যবস্তু হবেন অপরাধে জড়িত থাকার রেকর্ড থাকা অবৈধ অভিবাসীরা। এর মধ্যে গুরুতর অপরাধের পাশাপাশি ট্রাফিক আইন ভঙ্গ বা দোকান থেকে জিনিস চুরি করার মতো তুলনামূলকভাবে লঘু অপরাধে যুক্ত, সরকারি সুযোগ-সুবিধার অপব্যবহারকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচিত ব্যক্তিরা এর আওতায় পড়বেন। বলা হচ্ছে, এতে করে এজেন্টরা যে অবৈধ অভিবাসীকেই পাবেন, তাকেই গ্রেফতার করার ক্ষমতা পাবেন।
গত ২৭ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৭ দেশের মুসলিম অভিবাসী ও শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞার নির্বাহী আদেশ জারি করেন। তবে ওয়াশিংটনের ফেডারেল আদালত ট্রাম্পের আদেশ স্থগিত রাখার নির্দেশ দিলে তা বাস্তবায়ন হয়নি। এর পর নতুন করে ট্রাম্প প্রশাসন মঙ্গলবার অভিবাসী বিষয়ে নতুন আদেশ দেয়। ভয়েস অব আমেরিকা, সিএনএন ও বিবিসি অবলম্বনে