শফিক রেহমানকে লন্ডন যেতে বাধা পরে অনুমতি, ফ্লাইট আজ
রিকু আমির: লন্ডনগামী সাংবাদিক শফিক রেহমানকে বিমানের একদম গোড়া থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। যদিও পরে অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। আজই শফিক রেহমান ক্যান্সারে আক্রান্ত লন্ডনে চিকিৎসাধীন স্ত্রী তালেয়া রেহমানের কাছে যাবেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি তালেয়ার অপারেশন হবার কথা আছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তুর্কী এয়ারলাইন্সে লন্ডন যাবার কথা ছিল শফিক রেহমানের।
শফিক রেহমানের বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি- এমন কারণ দেখিয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে যেতে দেয়নি বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন শফিক রেহমানের সহকর্মী তারিকুল ইসলাম চয়ন।
বৃহস্পতিবার বিকালে শফিক রেহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি আমাকে ফোন করে বলেছেন, সে সময় তিনি থাকলে নাকি এ সমস্যা হতো না। ওসি বলেছেন, আমি বিদেশে যেতে পারব, কোনো সমস্যা নেই। শুক্রবার রওয়ানা দেব।
তারিকুল ইসলাম চয়ন ও বিমানবন্দর পুলিশের একটি সূত্র এ প্রতিবেদককে জানায়,বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় তুর্কী এয়ারলাইন্সে শফিক রেহমানের মালামাল উঠানো হয়েছিল। তিনি উঠতে যাবার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ বাঁধা দেয়। এসময় শফিক রেহমান তার কাছে থাকা পাসপোর্ট ও আদালতের কাগজপত্র দেখিয়েও ইতিবাচক সাড়া পাননি। পরে তার মালামাল বিমান থেকে নামিয়ে ফেলা হয়। এজন্য বিমানটির যাত্রা ৩০মিনিট পিছিয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় আপিল বিভাগ থেকে গত ৩১ আগস্ট জামিন পাওয়ার পাঁচদিন পর কারামুক্ত হন শফিক রেহমান। জামিনের শর্ত ছিল- পাসপোর্ট জমা রাখা।
শফিক রেহমানের সহকর্মী চয়ন এ প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেন- অতি সম্প্রতি আইনি প্রক্রিয়ায় শফিক রেহমান পাসপোর্ট হাতে পান। বিমানবন্দরে আদালতের কাগজপত্র দেখানো হয়েছিল। পুলিশ বলে দিয়েছে- এ সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা নাকি তারা পায়নি।
জানার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে ও বিকালে কয়েকবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওসি (ইমিগ্রেশন) আবদুল্লাহ আল মামুনের মোবাইল ফোনে কল করে সাড়া মেলেনি। এসএমএস পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
গত ১৮ জানুয়ারি তালেয়া রেহমানের দেহে ক্যান্সার শনাক্ত হয়। দিনটি ছিল তাদের বিবাহ বার্ষিকীর দিন।
বিশ্বভালবাসা দিবসের দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি শফিক রেহমান এ প্রতিবেদককে বলেছিলেন, ৬৫ বছরের পরিচয়, ৬০ বছরের সংসার আমাদের। অথচ আমাদের বিবাহবার্ষিকীর দিনই রিপোর্ট হাতে আসে, ওর ক্যান্সার ধরা পড়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে তার আপন ছোট ভাই রফিকুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন। শফিক রেহমানের পুত্র সুমিত রেহমান লন্ডনে বসবাস করেন। সম্পাদনা: রাশিদ