প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর এপ্রিলের প্রথমার্ধে ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জয়শঙ্কর
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধে ভারত সফরে যেতে পারেন। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের পর এই বিষয়টি নিশ্চত হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের কর্মসূচিও ঠিক করা হয়েছে। গতকাল বিকাল ৫টায় সংসদ ভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্থগিত হওয়া ভারত সফর এপ্রিল হবে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেসসচিব এম নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় নির্দিষ্ট করেছেন। এপ্রিলের প্রথমার্ধে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাচ্ছেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর গত ডিসেম্বরেই ভারত সফরে যাওয়ার কথা ছিল। হঠাৎ সেই সফর স্থগিত হয়ে যায়। পরে শোনা গিয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে এই সফর হবে। কিন্তু তা হয়নি। এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব দুদিনের সফরে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তিনি এই সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গতকাল তিনি পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। আজ তার দেশে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকের আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছেন। গতকাল বেলা সোয়া ২টায় চীনের বেইজিং থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এই সময়ে পররাষ্ট্র সচিব বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, দুদেশের পররাষ্ট্র সচিব দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করছেন। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে আলোচনা করেন। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য ভারত সফরসূচি এবং ওই সফরের আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়েও আলোচনা করেন।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী এবার ভারত সফরে গেলে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর অতিথি হিসেবে রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকবেন। আর দুদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি বিষয়ে দুদেশই সমাধানে পৌঁছতে পারে। তিস্তা চুক্তির বিষয়ে এখনও কেউ নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছে না। তবে বাংলাদেশ আশাবাদী এবার চুক্তি হতে পারে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী দায়িত্ব নেওয়ার পর আগামী সফরে এ বৈঠক হবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। এর আগে প্রধানমন্ত্রী একবার ভারতে যান। তবে সেটি ছিল ব্রিকস-বিমসটেক আউটরিচ সামিটে যোগ দিতে। ওই সময়ে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল ও কথা হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদী ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফর করেন। ওই সময়ে তিনি শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান। তবে সেই সফর হয়নি।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের মধ্য দিয়ে দুদেশের মধ্যে যেসব চুক্তি হওয়ার কথা ও সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে সেই সব বিষয়ে সমঝোতা হবে ও চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। বিশেষ করে তিস্তা চুক্তির বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। তবে এবারও এই চুক্তি হবে কি না এটা নিশ্চিত নয়। মোদীর সফরের সময়ে এ চুক্তি হবে এমন কথা থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর এর বিরোধিতা করেন। এরপর আর চুক্তি হয়নি।