ফুলবাড়ীতে চোর সন্দেহে হত্যা
সিদ্দিকুর রহমান, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে চোর সন্দেহে নির্যাতন করে সহিদুল (৪০) নামের একজনকে হত্যা করা হয়েছে। সহিদুলের মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় তিনজনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা করে। পরে পুলিশ আজিজুল ইসলাম নামের একজনকে আটক করে। সহিদুল ফুলবাড়ী উপজেলার পশ্চিম ফুলমতি গ্রামের মৃত এরশাদ আলীর ছেলে। মামলার আসমীরা হলো উপজেলার গোড়ক মন্ডল গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে নুর হোসেন (৩০) মৃত আফছার আলীর ছেলে আজিজুল ইসলাম (৪০) ও অজ্ঞাত আরেকজন। সহিদুলের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, মৃত সহিদুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের জানায় বুধবার দিবাগত মধ্য রাতে নুর হোসেন তার বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প চুরি হওয়ায় সহিদুলকে সন্দেহ করে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যায়। সহিদুলের স্বীকারোক্তি নিতে নুর হোসেন, আজিজুল ও আরেকজন একটি ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের থেতলে দেয়, দু’পায়ের হাটুর নিচে রগ কেটে দেয়, নাভীতে ধান দিয়ে মোচড় দিয়ে অচেতন অবস্থায় পশ্চিম ফুলমতি গ্রামের জরজিস মিয়া দর্জির বাড়ীতে ফেলে রেখে যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে সহিদুলের মা সুফিয়া বেগম সংবাদ পেয়ে স্থানীয়দের সাহায্যে সহিদুলকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টায় সহিদুলের মৃত্যু ঘটে। এরপরই পুলিশ ঔ রাতেই আজিজুলকে নিজবাড়ী থেকে আটক করে। স্থানীয়রা জানান, নুর হোসেন মাদক ব্যবসা করে। সে ও তার ভাই মীর হোসেন একই সাথে বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিক। ভারতের ঠিকানা হিসাবে ব্যবহার করে গ্রাম ঘোরাম পয়েস্তি, পোস্ট-গিদালদাহ, থানা-দিনহাটা, জেলা-কোচবিহার। নুর হোসেন গোড়ক মন্ডলের মৃত সাবের হোসেনের ছেলে আয়নালেন সহায়তার বৃহস্পতিবার ভারতে পালিয়ে যায়।