উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের পরই রাহুল হতে পারেন কংগ্রেস সভাপতি : শীলা
ইমরুল শাহেদ: দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শীলা দিক্ষীত বিতর্কটা সামনে নিয়ে এসেছেন। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে ব্যর্থতার পর দলের জন্য তেমন বড় কোনো সাফল্য কংগ্রেস দলের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী দেখাতে পারেননি। অথচ সোনিয়া গান্ধীর পর তারই দলের সভাপতি হওয়ার কথা। দলের অভিজ্ঞ নেতারা রাহুলের অতীত ভূমিকা মাথায় রেখে চিন্তা-ভাবনা করছিলেন দলের পরবর্তী সভাপতি নিয়ে। তারা কংগ্রেসের স্ট্র্যাটেজির কথাও ভাবছিলেন। কিন্তু শুক্রবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শীলা দিক্ষীত বলেছেন, ‘রাহুলের কংগ্রেস সভাপতি হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সব আটকে রয়েছে।’ তিনি বলেন, কংগ্রেসের এবার নতুন রক্তের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, তবে রাহুলের ব্যাপারে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, ও কিন্তু পুরোপুরি পরিণত নয়। শেখার চেষ্টা করছে। যেটা বলছে, হৃদয় থেকেই বলছে। তাই মানুষ গ্রহণ করছে। হয়ত উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের পরই নতুন ভূমিকায় ওকে দেখা যাবে।’
রাহুল গান্ধীকে নিয়ে দলের নেতাদের দৃষ্টিভঙ্গিও এখন পাল্টাতে শুরু করেছে। এবার পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে কংগ্রেসের কা-ারি হয়ে মাঠে নেমেছেন তিনি। সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর অসুস্থতার কারণে কোনো প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারেই এবার থাকতে পারেননি। এগিয়ে এসেছেন প্রিয়াংকা গান্ধী। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে অখিলেশ যাদবের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে প্রিয়ঙ্কার ভূমিকার পরে জল্পনা-কল্পনা হচ্ছিল তাকেই কংগ্রেসের প্রধান মুখ করা হবে কিনা।
উত্তর প্রদেশ নিয়ে আরও একটা আলোচনা শোনা যাচ্ছিল। রাজনৈতিক মহল থেকে বলা হচ্ছিল যে শীলা দিক্ষীতকে সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরা হতে পারে। কিন্তু নির্বাচনি ময়দান থেকে তিনি অনেকটাই দূরে রয়েছেন। তবে কি অভিমানে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন? শীল দিক্ষীত বলেন, ‘আমার তো প্রচারেই থাকার কথা। কানপুরে যাওয়ার কথাও ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লাম। এখন সুস্থ। বারাণসীতে যাবো। সেখানেই আমাকে দেখতে পাবেন।’ এখনই অবসরে যাওয়ার ইচ্ছে নেই, তাও স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘রাজনীতিতে আমার অভিজ্ঞতা মোটেই তিক্ত নয়। আমার বিরাট কোনো উচ্চাকাঙ্খা বা লোভ নেই। যা পেয়েছি, তাতেই আমি খুশি। তবে দল যদি অবসর নিতে বলে, তখন অবসর নিতেই পারি।’ উঠে আসে রাহুলের পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কার প্রসঙ্গ। শীলার মতে, ‘প্রিয়াঙ্কা যথেষ্ট বুদ্ধিমতী। ও জানে, কখন কোন সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’ সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস