উম্মুল ওয়ারা সুইটি: সময় পাল্টেছে। অফিস আদালতে নারীরা এখন হরহামেশা চাকরি করছেন। নিজেদের যোগ্যতায় এবং সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় নারীরা ঘরের বাইরে এলেও পুরুষ সহকর্মীদের আচরণে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। একজন নারী সহকর্মী পাশে বলে কাজ করলে আচরণ কেমন হওয়া উচিত তার কোনো প্রশিক্ষণ নেই। ফলে অফিস সহকর্মীদের আচরণেই নারীরা অস্বস্তিবোধ করেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের নারী কর্মকর্তা তাজরীন সুলতানা বলেন, তিনি যখন চাকরি শুরু করেন, তখন নারী সহকর্মীর সংখ্যা ছিল খুবই কম। ছেলেরা দল বেঁধে চা খেতে যেতেন কিংবা অফিসে আলাপ-আলোচনা করতেন নিজেরা। কখনোই তারা ভাবতেন না একজন নারী সহকর্মী রয়েছে। তাকে সৌজন্যমূলকভাবে হলেও কিছু একটা বলি।
তাজরীন বলেন, এখন মেয়েদের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু পুরুষ সহকর্মীদের মধ্যে এখনো এমন ব্যবহার আসে যা মেনে নেওয়া যায় না। কথা বলা থেকে শুরু করে পুরুষসহকর্মীরা অনেক সময়ই পাশে বসেই নারীদের চাকরির বিরোধিতা করে কথা বলেন। আর যদি কোনোভাবে কোনো একটি সেক্টরে দেখেন যে একটি মেয়ের কারণে কোনো ঝামেলা তৈরি হয়েছে। তাহলেও তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শুরু হয়, মেয়েদের বিরুদ্ধে বিষোদগার। তাদের মাথায় কাজ করে না, কক্ষেই রয়েছে তাদের নারী সহকর্মী। আবার মেয়েটির খুব একটা প্রতিবাদ করারও সুযোগ নেই। আবার এমন সব শব্দ উচ্চারণ করে, যা খুবই অস্বস্তিকর। যদি প্রতিবাদ করা হয় তাহলে ছেলেরা বলেই ফেলেন, এত সমস্যা হলে ঘরের বাইরে বেরিয়েছন কেন? মেয়ে সহকর্মী যেন তাদের বাকস্বাধীনতায় বাধ সেঁধেছেন। তিনি বলেন, সহকর্মীদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা উচিত এর একটি কমন প্রশিক্ষণ দরকার।