নারায়নগঞ্জে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক ৭
নুরুল আজিজ চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৭ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। পরে তাদেরকে চাঁদাবাজির ঘটনায় দায়েরকৃত দ্রুত বিচার আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়। শুক্রবার রাতে মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকার ফ্যামিলি ল্যাব হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটে। গ্রেফতাররা হলো- সিদ্ধিরগঞ্জের পশ্চিম সানারপাড় এলাকার বাশারউদ্দিনের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া, সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরের আব্দুস সালামের পুত্র নিশান, সিদ্ধিরগঞ্জের আটি ওয়াবদা কলোনীর ইসয়াত আহমেদের পুত্র আব্দুস সাত্তার মোল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা এলাকার অলি আহমেদ এর পুত্র মো. রাসেল, মিজমিজি এলাকার আফাজউদ্দিনের পুত্র ফারুক হোসেন, ফতুল্লার তল্লা এলাকার নূর মোহাম্মদের পুত্র নুরুজ্জামান কাউসার, ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার হাশেমের পুত্র ফারুক আহমেদ। এ ঘটনায় পলাতক রয়েছে সানারপাড় এলাকার টিটু।
তারা নিজেদেরকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছে। এ ঘটনায় মামলার বাদি হলেন, ফ্যামিলি ল্যাব হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও দৈনিক সরেজমিন পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন ভুইয়া। মামলার সূত্রমতে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে গ্রেফতার শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া ও পলাতক টিটু ফ্যামিলি ল্যাব হাসপাতালে গিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে দেখিয়ে দিবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৭টার দিকে শাহাদাৎ, টিটু, নিশান, আব্দুস সাত্তার, রাসেল, কাউসার, ফারুক আহমেদ, ফারুক হোসেন গিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করলে তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন। সেখানে তারা প্রতিষ্ঠানটিতে ভাংচুর চালায় এবং ক্যাশ থেকে ৫ হাজার টাকা লুটে নেয়। গ্রেফতাররা জানায়, ২২ ফেব্রুয়ারি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া ও পলাতক টিটু ওই হাসপাতালে গেলে মামলার বাদি বেলাল হোসাইন ভুইয়া তাদেরকে আটক করে মারধোর করে তাদের সাথে থাকা ক্যামেরা ভাংচুর করে। সম্পাদনা: শাহীন আলম শুক্রবার রাতে শাহাদাৎ তাদেরকে জানায় ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ক্যামেরা ফেরৎ দেবে। শাহাদাৎ ও টিটু সেখানে একা যেতে নিজেদের নিরাপদ মনে করছেনা। তাই তারা একসাথে ওই হাসপাতালে যায়। সেখানে গেলে তারা ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারে। এরমধ্যে নিশান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে অশোভন আচরণ করলে সেখানে অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। পরে বেলাল হোসেন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। শাহাদাত ও টিটু ছাড়া তারা কেউ এরকম ঘটনার সাথে জড়িত নয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মু.সরাফতউল্লাহ বলেন, চাঁদাবাজি অভিযোগে ৭ জন নামধারী সাংবাদিককে আটক করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে আটক করে নিয়ে আসে। পরে বিলাল হোসেন বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। পলাতক টিটুকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।