এম.এস.সাগর, কুড়িগ্রাম : দুধকুমর নদে সংযোগ রক্ষাকারী বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দরের রেলওয়ে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে । দুধকুমর নদের উপর ১৮৮০সালের শেষের দিকে বৃটিশ সরকারের নির্মিত সোনাহাট রেলওয়ে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং উপজেলা প্রসাশন ব্রিজটির মেয়াদ উত্তীণ হওয়ায় ব্যবহারের অনুপযোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ বলে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিলেও মেরামতের উদ্যেগ নেয়া হয়নি। এদিকে নবনির্মিত সোনাহাট স্থলবন্দরে ২০১৪ সাল থেকে ভারত থেকে কয়লা-পাথর আমদানী হয়ে অদ্যাবধি পর্যন্ত রাজস্ব আয় প্রায় ১৮ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে। স্থলবন্দরের এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট সরবারহকারী ব্যবসায়ীদের কয়লা ও পাথর প্রতিদিন ট্রাক যানবাহনে অতিরক্ত কয়লা ও পাথরের মালামাল বোঝাই রেলওয়ে সেতুর দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে চলে যাচ্ছে ফলে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি পড়েছে হুমকির মুখে। জানা যায়, সোনাহাট স্থলবন্দর রেলওয়ে ব্রিজটি বৃটিশ সরকার নির্মান করায় অভিভক্ত ভারতবর্ষে কলকাতাসহ পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে আসাম সহ পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ মাধ্যম ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ৩০ফুট চওড়া আসাম আর্মি এক্সেস রোড তৈরি করে ব্রিজটির উভয় দিকে সংযোগ দেয় ফলে রেল ও সড়ক ব্রিজ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান বিভক্তির পর রেল ব্রিজটি ব্যবহৃত হলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। ব্রিজটির পশ্চিম-পূর্ব পাড়ের নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারীর ১১ ইউনিয়নের যোগাযোগ মাধ্যম একমাত্র এই ব্রিজটি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে সময় পাক-হানাদার বাহিনী যাতে ব্রিজ দিয়ে পারাপার হয়ে পশ্চিমদিকে আক্রমন করতে না পারে এ জন্য মুক্তিযোদ্ধারা বোমা মেরে ব্রিজটির দুটি গাডার ফেলে দেয়। স্বাধীনতার পর তিস্তা সেতুটি সচল করতে সোনাহাট রেলওয়ে ব্রিজাটিতে সংযোগ দিয়ে তিস্তা সেতু সচল করে। কিন্তু সোনাহাট ব্রিজটি মেরামতের অভাবে বিচ্ছিন্ন হলে সরকারিভাবে ব্রিজটির ক্ষতিগ্রস্থ অংশে বেইলি ব্রিজ নির্মন করে পুরনায় চালু করে এরপর থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত সোনাহাট রেলওয়ে ব্রিজটির উন্নয়নে কেউ এগিয়ে আসেনি। সোনাহাট স্থলবন্দরটি চালু হওয়ায় ব্রিজটির গুরুত্ব ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পায়।