১৯ হাজার কোটি টাকার আমদানি আদেশ মেয়াদোত্তীর্ণ শতকরা ৯১ ভাগ সরকারি প্রতিষ্ঠানের, ৮ ভাগ ব্যক্তি খাতের
জাফর আহমদ: পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খুললেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকার পণ্য দেশে আসেনি। এর মধ্যে ৯১ শতাংশই সরকারি প্রতিষ্ঠাননের ঋণপত্র খোলা। এবং রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক এবং অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে এ সব ঋণপত্র খোলা। তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সুত্রের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যমতে কোন ঋণপত্র খোলার ১২০দিনের মধ্যে পণ্য দেশে আসার কথা। এ সময়ের মধ্যে পণ্য দেশে না এলে এলসি খোলা বাণিজ্যিক ব্যাংকের আমদানিকারক যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে সময় বাড়িয়ে নেয়। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত পর্যবেক্ষন করে থাকে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ১৮ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকার পণ্য দেশে আসেনি। এ সব ঋণপত্রই রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক এবং অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে এ সব ঋণপত্র খোলা হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) ১৫টি বিল অব এন্ট্রির (আমদানি আদেশ) বিপরীতে ১৬৬ কোটি ১০ লাখ ৯৬ হাজার মার্কিন ডলারের পণ্য দেশে আসেনি। যা মোট দেশে না আসা পণ্যের ৭০ শতাংশ। প্রতিরক্ষা মহাপরিদপ্তর (ডিজিডিপি) ৩৭৪টি বিল অব এন্টির বিপরীতে ৩৫৬ কোটি ২৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকার পণ্য। যা মোট পণ্যের ১৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
ব্যাংকিং খাতের মোট মেয়াদোত্তীর্ণ বিল অব এন্টির ৭০ ভাগ বিপিসি ও ডিজিডিপি‘র ১৫ শতাংশ। অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান ৭ শতাংশ এবং ব্যক্তিখাতে আমদানিকারকের মেয়াদোত্তীর্ণ বিল অব এন্টি রয়েছে ৮ শতাংশ এবং এর বিপরীতে ১,৬৬৪ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য।
রাষ্ট্রায়ত্ব খাতের এ সব প্রতিষ্ঠান সমূহের অনিষ্পন্ন এই বিপুল সংখ্যক মেয়াত্তীর্ণ বিল অব এন্টির কারণে একদিকে যেমন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুল্যবান বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ ঝুকির মুখে পড়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যান্তরিন ও কমার্শিাল অডিট আপত্তিসহ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ব এ সব প্রতিষ্ঠানের অভারডিউ এর কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন প্রতিবেদন সিসটেম হুমকির মুখে পড়ছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে রাজি হননি বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব কর্মকর্তার। সম্পাদনা: এনামুল হক