আজাদ হোসেন সুমন: এতদিন পক্ষে কথা বললেও মিতুর বাবা এখন অভিযোগ করছেন সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে। বাবুল আক্তারও নীরব বসে থাকার পাত্র নন। তিনিও ফেসবুকে নিজের সব কথা তুলে ধরেছেন। যাতে উঠে এসেছে বাবুল আক্তারের সঙ্গে মিতুর ষোড়শী খালাতো বোনকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টার কথা। যে সম্পর্ক কদিন আগেই ছিল সোনায় সোহাগা। চারিদিক থেকে মিতু হত্যায় সন্দেহের তীর বাবুল আক্তারের দিকে উঠলেও মিতুর মা-বাবা বরাবরই ছিলেন বাবুল আক্তারের পক্ষে। তারা বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার রিপোর্টকেও ভিত্তিহীন বলতেন। এখন তারাই বাবুল আক্তারকে দাঁড় করিয়েছেন অভিযোগের কাঠগড়ায়। নতুন করে ফেঁদেছেন পরকীয়ার কাহিনী। বাবুলও যুৎসই জবাব দিয়েছেন। এখন বাবুল আক্তারের সাথে শ্বশুর-শ্বাশুড়ির সম্পর্কে তিক্ততা এসেছে।
এ অবস্থায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় জড়িত বলে মাহমুদার মা-বাবা যে অভিযোগ করেছেন তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বাবুলকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রামে ডাকা হবে।
তদন্ত কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তের অংশ হিসেবে তিনি গত রোববার রাজধানীর মেরাদিয়ার ভুঁইয়াপাড়ায় মাহমুদার বাবার বাসায় যান। প্রায় আড়াই ঘণ্টা মাহমুদার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য পেয়েছেন। বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রামে ডাকা হবে। তবে কবে ডাকা হবে তার তারিখ নির্ধারণ হয়নি। কিছুদিনের মধ্যে ডাকা হতে পারে। মাহমুদা হত্যায় তদন্ত কর্মকর্তা বাবুলকে সন্দেহ করেন কিনাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, সন্দেহ করার মতো কোনো তথ্য প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। আট মাসে এই মামলায় জড়িত সন্দেহে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। দুজন ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দীও দিয়েছেন। খুনের নির্দেশদাতা কে এবং কেন তারা মাহমুদাকে খুন করল সেই প্রশ্নের জবাব খোঁজা হচ্ছে। তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। তাই নির্দেশদাতা কে বলা যাচ্ছে না।
এদিকে পুলিশ সদর দফতেরর একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন, বিষয়টি মীমাংসিত। এ নিয়ে অহেতুক টানা হেঁচড়া করা হচ্ছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপর অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অহেতুক জল ঘোলা করা হচ্ছে। এখন যেসব অভিযোগ উত্থাপিত হচ্ছে দুপক্ষ থেকেই সেগুলো স্বার্থের দ্বন্দ্ব। এই কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়িতে কোনো পক্ষের লাভ নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করা হয় মাহমুদাকে। এই ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। সম্পাদনা: এনামুল হক