বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাকালুকি হাওর তীরবর্তী সড়ক, দুর্ভোগ চরমে
স্বপন কুমার দেব, মৌলভীবাজার : এশিয়ার বৃহত্তম হাওরের দক্ষিণ তীরে অবস্থিত শশারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত বন্যায় বিশাল ঢেউ বিদ্যালয়ের মাঠ এবং ভবনের মাটির ক্ষয় হয়। এতে ৫ম শ্রেণির নিচের ঢালাই ফেটে শ্রেণিকক্ষ অনেকটা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এভাবে হাওর তীরের উত্তর শশারকান্দি, জাব্দা, মহেষগৌরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুধু স্কুল নয় দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় রাস্তাঘাটের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তার মেরামতে কোন উদ্যোগ নেই। ফলে হাওর তীরের মানুষকে চলাচলেও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শশারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) বদরুল ইসলাম জানান, গত বছরের ৮মাস বন্যা ছিলো হাকালুকি হাওর তীরের কুলাউড়াসহ ৫টি উপজেলায়। এ দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় হাকালুকি হাওর তীরের কুলাউড়া উপজেলার রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ শ্রেণিকক্ষ মেরামত করা না হলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থার কারণে সময়মত স্কুলে যেতে পারেন না শিক্ষকরা। স্কুলে গেলেও রাস্তার ঝক্কিঝামেলা আর দুর্ভোগ মোকাবেলা করে বিদ্যালয়ে গেলেও পাঠদান করার মত মানসিক অবস্থা থাকে না।
হাওর তীরের ভুকশিমইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির জানান, বন্যায় কুলাউড়া-পুশাইনগর হয়ে গৌড়করণ ৭ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। বন্যার পর যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া কুলাউড়া থেকে কাদিপুর ছকাপন হয়ে ভুকশিমইল সাড়ে ৮কিলোমিটার রাস্তায় এবং ভুকশিমইল থেকে বরমচাল ৭ কিলোমিটার রাস্তায় বন্যায় বেশ কয়েকটি স্থানে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই দুটি রাস্তায় যানবাহন চলাচল করে ঝুঁকি নিয়ে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান