যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অবরোধ কেন বেআইনি নয় : হাইকোর্ট
এস এম নূর মোহাম্মদ: আদালতের রায় এবং আদেশের বিরুদ্ধে ধর্মঘট ডাকা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ধর্মঘট আহ্বানকারী ও এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। এছাড়া সারাদেশে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিআরটিএ ও বিআরটিসির চেয়ারম্যান, আট বিভাগের পুলিশের ডিআইজি এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট ১৭ জনকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বিবাদীদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ গতকাল সকালে রিট আবেদনটি দায়ের করে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
শুনানির সময় অমিত তালুকদার আদালতকে বলেন, ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাই এ রিট আবেদনের আর কার্যকারিতা নেই। এ সময় রিট আবেদনকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। এরপরও আঞ্চলিকভাবে ধর্মঘট ডাকা হলে এর দায় কে নেবে। তিনি বলেন, যেমনটি খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ধর্মঘট ডাকা হয়। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ধর্মঘট ডাকার সুযোগ নেই। এটা আদালত অবমাননা। সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, একজন মন্ত্রীর বাসায় বসে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
একপর্যায়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার আদালতকে বলেন, এর আগে সুপ্রিম কোর্ট হরতাল বা ধর্মঘটকে বৈধ বলে রায় দিয়েছেন। জবাবে মনজিল মোরসেদ বলেন, ওই রায়ে রাজনৈতিকভাবে ডাকা হরতাল প্রসঙ্গে ছিল। সেখানে বলা হয়, হরতাল ডাকা একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আমাদের আবেদন কেবল আজকের প্রসঙ্গেই নয়। ভবিষ্যতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। সম্পাদনা: এনামুল হক