খিলগাঁওয়ে যুবক নিহত রাজধানীতে স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করল বন্ধুরা
মাসুদ আলম : রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্ধুর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সজীব (১৬) নামে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ রুবেল নামে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সজীব স্থানীয় হলি ক্রিসেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলো।
এ ঘটনায় বুধবার মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শক্রতার জেরধরেই সজীবকে হত্যা করা হয়েছে। সম্প্রতি সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে কিশোর ও স্কুল ছাত্রদের মধ্যে ঘটছে খুন খারাবি ।
নিহত সজীবের দুলাভাই বাবু জানান, পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ১৭৮/১ বেলতলা এলাকায় দুলাভাইয়ের সঙ্গে থাকতো সজীব। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বাসা থেকে দোকানে যায় সজীব। এসময় তার সঙ্গে ছিলো আলামিন নামে এক বন্ধু। আগে থেকে দোকানের সামনে দাড়িয়ে ছিলো সৌরভ ও রুবেলসহ ৫ জন। এসময় সজীবকে তারা ডেকে হলি ক্রিসেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে গলিতে নিয়ে যায়। পরে সজীবকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। একপর্যায় সজীবকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। এসময় হাতেনাতে রুবেলকে আটক করে স্থানীয়রা। সেখান থেকে রুবেলকে উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ সরোওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবন্নতি হলে রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, সজীব ও হত্যাকারীরা পরস্পরের বন্ধু। প্রায়ই তাদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। কিন্তু তারা যে সজীবকে হত্যা করবে তা এখনো ভাবিনী। নিহত সজীবের গ্রামের বাড়ি বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। মিরপুর থানার এসআই জহিরুল ইসলাম বলেন, সজীব হত্যার ঘটনায় রুবেল নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
খিলগাঁওয়ে যুবককে হত্যা : বনশ্রীতে সাইকেল চুরির অভিযোগে মো. মানিক নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় কয়েকজন যুবক । এ ঘটনায় খিলগাঁও থানা পুলিশ এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে। গতকাল সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
খিলগাঁও থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান,বুধবার সকাল ৯টার দিকে দক্ষিণ বনশ্রীর ইব্লকে একটি সাইকেল চুরির অভিযোগে মানিককে স্থানীয় কয়েকজন যুবক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে মানিক মারা যায়। পরে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় রিমন ও শফিক নামের দু’জনকে আটক করা হয়েছে । নিহতের বাবা আলী আকবর জানান, মানিক ডাম্পিংয়ের গাড়ি চালাতো। কয়েকদিন পরই তার মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল। তার পাসপোর্ট-ভিসাও প্রস্তত ছিল। কিন্তু সাইকেল চুরির মিথ্যা অভিযোগে মানিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সম্পাদনা: এনামুল হক