কানাডার অন্টারিওতে মার্চকে ‘বাংলাদেশি হেরিটেজ মান্থ’ ঘোষণা
মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে
কানাডার অন্টারিও প্রদেশ সরকার ঐতিহ্যবাহী মার্চ মাসকে ‘বাংলাদেশি হেরিটেজ মান্থ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। অন্টারিও প্রদেশের প্রিমিয়ার ক্যাথলিন ওয়েন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের বিজয়ের মাসকে ‘বাংলাদেশি হেরিটেজ মান্থ’ বা বাংলাদেশি ঐতিহ্যের মাস হিসেবে এ ঘোষণা দেন। এ বছরের পহেলা মার্চ অন্টারিও সরকারের পক্ষে প্রেরিত এক বাণীতে তিনি এ কথা জানান। এছাড়া অপর এক ভিডিও বাণীতে তিনি বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে প্রথম সারির দেশ হিসেবে কানাডার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং পরবর্তীতে প্রাদেশিক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতির কথা অতি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন। প্রিমিয়ার তার বাণীতে অন্টারিও প্রদেশে প্রথম বাংলাদেশি ঐতিহ্যের মাস পালনের সূচনায় সমাজের সকলকে গৌরবান্বিতভাবে শুভেচ্ছা জানান। সেখানে তিনি বলেন, মার্চ মাসটি সকল বাংলাদেশির কাছে যথেষ্ট গুরুত্ববহ এবং প্রতিবছর ২৬ মার্চ সারাবিশ্বের বাংলাদেশিরা স্বাধীনতা দিবস পালন করেন; সেটি ১৯৭১ সালে ঘোষিত হয়। এতে ২০১৬ সালে গৃহীত ‘বাংলাদেশি হেরিটেজ মান্থ অ্যাক্ট’-এর অধীনে মার্চ মাসকে এধরনের ঘোষণায় অন্টারিও প্রদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘোষণায় বাংলাদেশি সমাজকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হলো। বহুজাতিক সাফল্যের উল্লেখযোগ্য অংশ হিসেবে এই গতিশীল সমাজ অন্টারিও প্রদেশকে সমৃদ্ধ করবে। তাদের চলমান অবদানে এই প্রদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনযাত্রা বিকশিত হবে।
অন্যদিকে ভিডিও বাণীর সূচনায় ‘আসসালামুআলাইকুম ও নমস্কার’ জানিয়ে প্রিমিয়ার ক্যাথলিন ওয়েন বাংলাদেশি ঐতিহ্যের মাস ঘোষণার প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, গত বছর প্রাদেশিক সাংসদ লরেঞ্জো বেরাদিনিতির উত্থাপিত ও পাস হওয়া ‘বাংলাদেশি হেরিটেজ মান্থ অ্যাক্ট’-এর অধীনে তা ঘোষিত হয়েছে। পাশাপাশি বলেন, ২০০৯ সালে প্রাদেশিক সাংসদ রেজা মোরিদি একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের ক্ষেত্রে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ বিলটি পাসে সমর্থ হন। শেষটায় তিনি বলেন, বাংলাদেশি সমাজ তাদের অবদানের মাধ্যমে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ আনুগত্যকে অক্ষুণœ রাখবে।
ইমেইল: নঁশযধৎর.ঃড়ৎড়হঃড়@মসধরষ.পড়স