শর্টগানের গুলিতেই বাসচালকের মৃত্যু, স্বজনরা আসেনি, মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেবে পুলিশ
ইসমাঈল হুসাইন ইমু: শ্রমিকদের ডাকা পরিবহন ধর্মঘটে রাজধানীর গাবতলীতে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত বৈখাশী পরিবহনের চালক শাহিনূর (৩০) শর্টগানের গুলিতে নিহত হন। গতকাল দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে শাহিনূরের ময়নাতদন্ত শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ। তিনি বলেন, শাহিনূর শর্টগানের গুলিতেই নিহত হয়েছেন। তার বুকে ও পেটে একাধিক গুলি পাওয়া গেছে। তবে শার্টগানের গুলিটি পুলিশের কি না সে ব্যাপারে কিছু জানাননি সোহেল মাহমুদ। এর আগে দুপুর ১টায় ময়নাতদন্ত শুরু করেন তিনি। শেষ হয় দুপুর সোয়া ২টায়। এদিকে লাশ নিতে শাহিনূরের স্বজনরা হাসপতালে না আসায় কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে তা বুঝিয়ে দিয়েছে। দারুস সালাম থানার উপ-পরিদর্শক মহেশচন্দ্র সিংহ জানান, নিহতের স্বজনরা লাশ নিতে না আসায় আমরা পুলিশ প্রহরায় সেটি তার বাড়িতে দিয়ে আসব। তিনি বৈশাখী পরিবহনের বাস চালাতেন। বুধবার সন্ধ্যায় পরিবহনের মালিক মো. ইকবাল লাশ শনাক্ত করে যান।
প্রথম দিকে নিহতের নাম শাহ আলম (৩২) জানা গেলেও মো. ইকবাল পুলিশকে জানান তার নাম শাহিনূর। তার বাড়ি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম বালিঘাটায়।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীর এর নিহতের ঘটনায় এক বাসচালকের যাবজ্জীবন সাজা দেওয়ায় ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলনা বিভাগের দশ জেলায় পরিবহন ধর্মঘট চলছিল। আর সাভারে ট্রাকচাপা দিয়ে এক নারীকে হত্যার দায়ে আদালত ২৭ ফেব্রুয়ারি ট্রাকচালকের মৃত্যুদন্ড দিলে এই ধর্মঘট অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশব্যাপী পালন করতে শুরু করে শ্রমিকরা। গত মঙ্গলবার রাত থেকে রাজধানীর গাবতলীতে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা। রাতে দফায় দফায় পুলিশ শ্রমিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় শ্রমিকরা পুলিশের গাড়িসহ বেশিকিছু স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেন। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বুধবার সকালে গুলিবিদ্ধ হন শাহিনুর। সম্পাদনা: এনামুল হক