বঙ্গবন্ধু রেল সেতুুনির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষর
আনিসুর রহমান তপন: যমুনা নদীর উপর পৃথক রেল সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এই সেতুটির নির্মাণের ডিটেইল ডিজাইনের কাজ করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু’র পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে জাপানের ওরিয়েন্টাল কনসালট্যান্টস গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি অন্য আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে সেতুর পরামর্শকের কাজ করবে। রাজধানীর আব্দুল গনি সড়কে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান ভবনে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কাজী মো. রফিকুল আলম এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রায়োহেই ইশি।
জাইকার অর্থায়নে নির্মিতব্য বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ ব্যয় হবে ৭৪৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক সাংবাদিকদের জানান, যমুনা নদীর উপর নতুন রেলসেতু নির্মাণ খুবই জরুরি। এই সেতু নির্মিত হলে উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলসহ সমগ্র দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। আরও নতুন ট্রেন চালানো যাবে, অতিরিক্ত মালামাল পরিবহন করা সম্ভব হবে। ফলে সেতুটি দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখবে।
প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতু ৩০০ মিটার উজানে ৪ দশমিক ৮০ কিমি ডুয়েল গেজ ডাবল রেলওয়ে সেতু নির্মিত হবে। সেই সঙ্গে সেতুর উভয় প্রান্তে ‘বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব’ ও ‘বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম’ স্টেশন পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল রেল লাইন নির্মাণসহ সিগন্যালিং সিস্টেম মডিফিকেশন করা হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন, জাইকার প্রধান প্রতিনিধি তাকাতোশি নিশিকাতা, জাপানি দুতাবাসের প্রথম সচিব তোশিউকি নগোচিসহ মন্ত্রণালয় ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: এনামুল হক