বাঞ্ছারামপুরসহ ২ উপজেলায় পবিসের বৈদ্যুতিক মিটার সংযোগে অনিয়ম
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনানুযায়ী ঘরে ঘরে গ্রাহকের আবেদনের ৭ দিন হতে ১ মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়া এবং গত ২ মার্চ বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিদ্যুৎ মন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ঘোষনা বাস্তবায়িত না হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে পবিস-৩ এর আওতাধীন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ও কুমিল্লার হোমনা উপজেলায়।বিভিন্ন অভিযোগে জানা গেছে, কুমিল্লা-৩ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নতুন মিটার সরবরাহ না থাকায় তিন মাস হতে ৫ বছর আগেও আবেদন করে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি বাঞ্ছারামপুর, হোমনা উপজেলার প্রায় ১১ হাজার ৩ শত ৭৬ জন গ্রাহক। ফলে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে আগ্রহীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ সুযোগে এক শ্রেণির দালালচক্র গজিয়ে উঠেছে। দুই উপজেলায় মিটার ও নতুন বৈদ্যুতিক সংযোগের নেতৃত্বে দিচ্ছেন মো. লিটন মিয়া ও কাউসার গং নামে দুই ইলেক্ট্রশিয়ান। তাদের অধীন রয়েছে অর্ধশত দালালচক্র।সরেজমিনে ঘুরে দেখা ও কথা বলে দেখা গেছে, ভিলেজ ইলেকট্রিশিয়ান নামে দালাল চক্রটি গতকাল শনিবারও তাদের নিজেদেরকে পল্লী বিদ্যুতের অনুমোদিত ডিলার ও সংযোগ দেয়ার সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রেখে মিটার দেয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন। প্রভাবশালী এসব দালালরা সরকারি দলের পরিচয় দিয়ে কামিয়ে নিচ্ছে লাখ-লাখ টাকা। মিটার সংকটের কারণে বাঞ্ছারামপুর ও হোমনা জোনাল অফিসে নতুন আবেদন জমা নেয়া কমিয়ে দেয়া হয়েছে। আগামী জুন মাসে বাঞ্ছারামপুর- হোমনা উপজেলায় শতভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা থাকলেও মিটার সংকটের কারণে বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তিন মাস ধরে এ অবস্থা চললেও সমাধানে তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। কুমিল্লা-৩-এর জেনারেল ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম গতকাল শনিবার মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, আর ইবির প্রধান কার্যালয় থেকে নতুন মিটার সরবরাহ এতোদিন বন্ধ ছিলো। চলতি মার্চের মধ্যে নতুন মিটার সরবরাহ পাওয়া যাবে এবং তা সাথে সাথে বাঞ্ছারামপুর-হোমনায় পৌছে দেয়া হবে। বাঞ্ছারামপুর-হোমনা শতভাগ বিদ্যুৎ বাস্তবায়ন মিটার সংকট কারণে কোনো প্রভাব পড়বে না। সম্পাদনা: শাহীন আলম