নবাবগঞ্জে উন্নত প্রযুক্তির ১০ কোটি টাকার আম উৎপাদনের সম্ভাবনা
এম রুহুল আমিন প্রধান, নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে উন্নত প্রযুক্তির হাড়িভাঙ্গা, ন্যাংড়া, আ¤্রপালি, মিশ্রিভোগ সহ উন্নত প্রযুক্তির ৫ হাজার ছোট বড় আমবাগানে ১০ কোটি টাকার আম উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখছেন বাগান মালিকেরা। আগাম জাতের আমগাছে মুকুল ঝরে গুটি দেখা দিয়েছে। আমের গাছে গাছে পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে গুটি (কড়ালি)। মৌ মৌ গন্ধ শেষে আমের গুটিতে চাষিদের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে। ফল ভরন্ত গাছের পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত উপজেলার চাষিরা। আম চাষিরা ধারণা করছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাগানের গাছে গাছে যে পরিমান মুকুল ও গুটি দেখা দিয়েছে তাতে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সেদিকটা খেয়াল রেখে রাতদিন বাগান পরিচর্যা করে যাচ্ছে এ অঞ্চলের আম চাষি ও মালিকরা। রাস্তার দুই ধারে সারি সারি আম বাগান আর সুস্বাদু ও বাহারি জাতের আমের কথা উঠলেই চলে আসে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের নাম। বাগান মালিক সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আগেই পর্যাপ্ত পরিমাণ আমের মুকুল গাছে এসেছে। গত ছয় বছরের ব্যবধানে দ্বিগুণেরও বেশি জমি এসেছে আমবাগানের আওতায়। ফলন ও লাভ বেশি হওয়ায় অনেকেই এখন আম আবাদের দিকে ঝুঁকছেন। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, তোতাপরি, বৌভুলানী, রানীপছন্দ, জামাইখুসি, গোপাললাড়–, ফজলি, ল্যাংড়া, হিমসাগর, গোপালভোগ, বৃন্দাবন, লক্ষণা, বোম্বাই খিরসা, দাউদভোগ, গোপালভোগ, আ¤্রপালি, আশ্বিনা, ক্ষুদি খিরসা, বৃন্দাবনী, লক্ষণভোগ, কালীভোগসহ প্রায় দেড়শ’ জাতের আম রয়েছে এ এলাকায়। প্রতিবছর আমের মওসুমে দুই লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়। এবার প্রায় ৮০ শতাংশ গাছে মুকুল ফুটেছে। তবে আম ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা মনে করেন, এখন পর্যন্ত মুকুল ফুটেছে মাত্র ৬০ থেকে ৭৫ শতাংশ। এর মধ্যে আগাম জাতের আমগাছে মুকুলের পাশাপাশি পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে আমের গুটি। মাঘের শুরুতে আমগাছের ডালে ডালে মুকুল ফুটতে শুরু করে। এ সময় বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা মুকুলের পরিচর্যা শুরু করেন। উপজেলার ৩নং গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের পতিœচান এলাকার দুইশত বিঘা আমবাগানের মালিক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, তার বাগানে সফলভাবে এসেছে মুকুল। সম্পাদনা: শাহীন আলম