মুরাদনগরে চিকিৎসক সংকটে তালা ঝুলছে ৭টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে
মুরাদনগর প্রতিনিধি (কুমিল্লা) : কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ৭টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র (সাব-সেন্টার) কাগজে-কলমে খোলা থাকলেও চিকিৎসক না থাকায় তালা ঝুলছে সাব-সেন্টার গুলো। সরকার স্বাস্থসেবা জনগনের দৌড়গড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু করলেও উপজেলার ৭টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক, জনবল ও আসবাবপত্র সংকটের কারণে সবগুলোই বন্ধ রয়েছে। আর সে কারণে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না হতদরিদ্ররা। চিকিৎসক ও সরকারি ওষুধ না পেয়ে চরম বিপাকে পড়েছে এ সব এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা ডেপুটেশনের নামে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে অবস্থান করে মাসের পর মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে বেতন ভাতা উত্তোলন করছে চিকিৎসকরা। তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এ সুযোগে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে আঙুল ফুলে কলা গাছ বনে যাচ্ছে চিকিৎসা সেবা প্রদানের ভুয়া আশ্বাস দেয়া কিছু অসাধু চিকিৎসক। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার রামচন্দ্রপুর, জাহাপুর, বাঙ্গরা, হায়দরাবাদ, গান্ধ্যা, নগরপাড় (গুঞ্জর) ও শ্রীকাইল এলাকায় অবস্থিত ৭টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে (সাব-সেন্টার) চিকিৎসক না আসায় চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে। এ সব সাব সেন্টার গুলোতে প্রতিদিনই সেবা প্রত্যাশীরা এসে চিকিৎসক না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে রোগিরা। এ সব এলাকার নি¤œআয়ের লোকজন অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে না পেয়ে অসুস্থ্য অবস্থায় বাড়িঘরেই দিনাতিপাত করছে। সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ৭টি সাব সেন্টার বিগত ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসক না আসায় এ সব এলাকার লক্ষাধিক দরিদ্র জনসাধারণের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে আছে। সরকারি বরাদ্দকৃত ওষুধের ওপর নির্ভরশীল এ সব এলাকার বাসিন্দারা ২ বছর ধরে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ৭টি ইউয়িনে ৭টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিদিন সকাল ৮টা হতে দুপুর দুইটা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চালু থাকার কথা। সম্পাদনা : শাহীন আলম