আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশ আহতের ঘটনায় মামলা
সুজন কৈরী: রাজধানীর মালিবাগ ডিআইটি রোডে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতার করতে গিয়ে শ্রমিকদের হামলায় পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। রমনা থানার এসআই শেখ মো. মেহেদি হাসান বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ এনে দায়েরকৃত মামলায় ওই গার্মেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোস্তফা কামাল সোবহান, জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) কামরুল সোবহান রুবেল এবং নির্বাহী পরিচালক শহিদ ও এজিএম এরশাদসহ ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ২শ থেকে আড়াইশ’ শ্রমিককে আসামি করা হয়েছে।
পাওনা টাকা আদায়ের জন্য বিভিন্ন সময় শ্রম আদালতে ড্রাগন গার্মেন্টস অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেডের মালিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করে শ্রমিকরা। আসামিরা আদালতের নির্দেশে হাজির না হয়ে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকেন। ওই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আদালতের নির্দেশে গত শনিবার দুপুরে পুলিশ পলাতক আসামিদের ধরতে ওই গার্মেন্টে যায়। এ সময় ওয়ারেন্টভুক্ত একজন আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ তাদের পিকআপে তোলে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গার্মেন্টের লোকজন পিকআপ থেকে ওই আসামিকে ছিনিয়ে নেয় এবং পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে রমনা থানার এসআই নেয়াজ ও মেহেদিসহ চারজন আহত হন। তারা কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে পুলিশের দাবি, আদালতের নির্দেশে আসামি ধরতে গেলে ওই গার্মেন্টের প্রবেশদ্বার শ্রমিকরা আটকে দেয়। এ সময় শ্রমিক-কর্মকর্তাদের সাথে পুলিশের বাকবিত-া হয়। এরপর গার্মেন্টের ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। ইটের আঘাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে আসামি না ধরেই পুলিশ চলে আসে।
রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর থেকেই আসামিদেরকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। তবে পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতারে বিলম্ব হচ্ছে। তবে শ্রমিকদের দায়ের করা মামলায় আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। যার কপি থানায় পৌঁছেছে। তাই ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে তারা ফৌজদারি অপরাধ করেছে। তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আসতে হবে। সম্পাদনা: নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী