আবাসিক এলাকা থেকে অবৈধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হবে
তরিকুল ইসলাম সুমন: আবাসিক এলাকা থেকে অবৈধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হবে। তবে যারা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং সিটি করপোরেশনের অনুমোদন নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করেছে তাদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিটি করপোরেশন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা উচিত হয়নি। এটা তো আগে থেকেই কন্ট্রোল করা উচিত ছিল। যারা বৈধ নয় তাদেরই উচ্ছেদ করা হবে। আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থাকায় নানা সমস্যা হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিটি করপোরেশন বিভাগ সূত্র জানায়, আবাসিক এলাকা থেকে অবৈধ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরানোর জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠকের একটি নির্দেশনা রয়েছে। আবাসিক এলাকায় অবৈধ স্থাপনা নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছে। গত মাসেও একটি মিটিং করা হয়েছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রাজউকের সূত্র জানায়, আবাসিক এলাকার ভিতরে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় এলাকাবাসীর সমস্যা হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে রাজউক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। আবারো অভিযান পরিচালনা করা হবে। তবে আবাসিক এলাকায় যে পরিমাণ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এর সবগুলো সরানো সম্ভব নয়। এজন্য রাজউক সব প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের পরিবর্তে বিকল্প পথ খুঁজছে। আবাসিক এলাকার ভিতরে যেসব রেস্টুরেন্ট, হোটেল, বার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে তা উচ্ছেদ করা হবে।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান বলেন, সিটি করপোরেশন প্রায় সময়েই আবাসিক এলাকা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে থাকে। সেক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বাদ পড়ার সুযোগ নেই। তবে অনেক সময় দেখা যায় প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চাদালতের মাধ্যমে স্থগিতাদেশ নিয়ে কাজ করেন।
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, যারা এখনো নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার কোনো প্রক্রিয়া শুরু করেনি, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি সূত্র জানায়, রাজধানীর অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে। সরকারের নির্দেশনা থাকার পরেও তারা নিজস্ব ভবন বা ক্যাম্পাসে যাচ্ছে না। একই জায়গায় একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এতে আবাসিক এলাকার মানুষের সমস্যা হচ্ছে। অপরদিকে আবাসিক এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো উচ্ছেদ করা হলে যেসব শিক্ষার্থী সেখানে লেখাপড়া করছে তারা কেথায় যাবে। এ দিকটিও বিবেচনা করা প্রয়োজন। সম্পাদনা: আনিসুর রহমান তপন