ঢাকায় কর্মবিরতি করতে পারেনি ইন্টার্নরা
রিকু আমির : ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করা হলেও চিকিৎসক নেতাদের হস্তক্ষেপে ঢাকার সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোয় কর্মবিরতি পালন করতে পারেননি ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন নারী চিকিৎসককে আপা ডাকা, চিকিৎসককে রোগীর স্বজন মানহানিকর কথা বলা ও এর জেরে রোগীর স্বজনকে মারধর করার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নির্দেশে তদন্ত করে
ডা. এমএ আল মামুন, ডা. আশিকুজ্জামান আসিফ, ডা. কুতুব উদ্দিন ও ডা. নূরজাহান বিনতে ইসলাম নাজ এর ইন্টার্নশিপ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। সেই সঙ্গে শাস্তি শেষে তাদের চারটি ভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ শেষ করতে হবে বলে ঘোষণা দেন কর্তৃপক্ষ। এর জেরে রোববারসহ টানা তিনদিন ঢাকার বাইরের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করেন।
জানা যায়, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) প্রভাবশালী নেতাদের চাপের কারণে ঢাকার কোনো মেডিকেল কলেজে কর্মবিরতি পালন করতে পারেননি ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যে দুটি গ্রুপ আছে। একটি গ্রুপ খুবই অল্প সময় কর্মবিরতি পালন করেছেন।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিবাদী ডিজিটাল ব্যানার টাঙানো ছাড়া আর কিছু হয়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা স্বল্প সময়ের জন্যও কর্মবিরতি পালন করতে না পারলেও ফেসবুকে বেশ সক্রিয় ছিলেন। ঢাকার বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে কোনো দৃশ্যমান প্রভাব ছিল না।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব ডা. এমএ আজিজ রোববার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদককে বলেন, স্বাস্থ্য সেক্টরের উন্নয়ন, ভাল পরিবেশ নষ্ট করতে দেওয়া হবে না। দেশে প্রচলিত আইন আছে, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সুযোগ আছে। যে কাজের মাধ্যমে রোগীর কষ্ট হয়, চিকিৎসকের দুর্নাম রটে, সর্বোপরি স্বাস্থ্য সেক্টরের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি হয়- এমন কাজ করা ঠিক নয়। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু