পাকিস্তানি লেখকের দাবি ১৬ ডিসেম্বর যুদ্ধবন্দি ৯৩ হাজার, আত্মসমর্পণ করা যোদ্ধা পাকিস্তানি সৈন্য ছিল ৩৪ হাজার
সারীফা রিমু: পাকিস্তানি লেখক, গবেষক ড. জুনায়েদ আহমেদ তার সাম্প্রতিক প্রকাশিত ঊীঢ়ষড়ফরহম গুঃযং অনড়ঁঃ ১৯৭১ শিরোনামে বইতে দাবি করেছেন যে মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে আত্মসমর্পণ করা পাকিস্তানি যোদ্ধা (ঈড়সনধঃধহঃ) সৈনিকের সংখ্যা ৯৩ হাজার ছিল না। তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে, অযোদ্ধা (ঘড়হ-ঈড়সনধঃধহঃ) সেনা সদস্য এবং পশ্চিম পাকিস্তানি বেসামরিক নাগরিকসহ যুদ্ধবন্দির সংখ্যা ৯৩ হাজার ছিল।
ড. জুনায়েদ আহমেদের মতে, আত্মসমর্পণের পর ভারতে নিয়ে যাওয়া ৯৩ হাজার যুদ্ধবন্দির মধ্যে কম-বেশি পঁয়ত্রিশ হাজার পাকিস্তানি যোদ্ধা (ঈড়সনধঃধহঃ) সৈনিক ছিলেন। তার বাইরে সেনাবাহিনীর চিকিৎসক, নার্স, পাচক, নাপিত, কাঠমিস্ত্রিসহ অনেক ধরনের অযোদ্ধা (ঘড়হ-ঈড়সনধঃধহঃ) সেনা সদস্য ছিলেন। আরো ছিলেন পাকিস্তানি বেসামরিক প্রশাসনের তৎকালীন অবাঙালি কর্মকর্তা, কর্মচারী, তাদের পরিবারের নারী ও শিশু।
ড. জুনায়েদ আহমেদ তার এই দাবির স্বপক্ষে মূলত পশ্চিম পাকিস্তানি সূত্রের উপরই বেশি নির্ভর করেছেন। তার তথ্য সূত্রের মধ্যে রয়েছেন, লে. জেনারেল নিয়াজি, এয়ার মার্শাল রহিম খান, এয়ার মার্শাল জুলফিকার আলী খান, জেনারেল আখতার আব্দুল রেহমান, মার্কিন কংগ্রেসম্যান চার্লস উইলসন ও স্টিফেন সোলার্জ, প্রাক্তন ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী কে.সি পান্ট এবং ভারতীয় বাঙালি লেখক শর্মিলা বসু।