বৃহস্পতিবার কথা বলবে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ
জাফর আহমদ: হাতিরঝিলে অবস্থিত তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির বিজিএমইএ-এর অবৈধ কমপ্লেক্স ভাঙার ব্যাপারে নতুন করে সময় চাইবে কর্তৃপক্ষ। আগামী বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে সময় চাওয়ার কথা রয়েছে।
এ ব্যাপারে বিজিএমইএ-এর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাসির ও পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল কাফি জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতের রায় মানতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে, কম্পারটিভলি জায়গা পেলে আমরা সেখানে চলে যাব। তবে এর জন্য সময় দরকার, আগামী বৃহস্পতিবার সময় চাওয়া আছে। আদালতে সময় চাইব। সময় পেলে সে মোতাবেক আমরা ভবন সরানোর কাজ করব। তবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। আদালতের রায়ে তিনি বেশ রাগের সাথেই এই আলাপকালে বলেন, দেখা যাক আদালত কী বলেন। বড় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিজিএমইএ কমপ্লেক্স দ্রুততম সময়ে সম্ভব নয়। এ জন্য সময় চাইব। আশা করি সময় পাব। এরপর সরকার যা করে আমরা সেভাবে কাজ করব বলে জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ে সংগঠন এফবিসিসিআই-এর প্রথম সহ-সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
প্রসঙ্গত, গতকাল রোববার হাইকোর্টের আপিল বিভাগ বিজিএমইএ’র এ বহুতল ভবন ভাঙার বিষয়ে রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন। তবে কতদিনের মধ্যে ভাঙতে হবে সে বিষয়ে বিজিএমইএ-এর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) আদেশ দেবেন আপিল বিভাগ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বিজিএমইএ ভবনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম।
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর রিভিউ আবেদন করে বিজিএমইএ। আবেদনে আপিল বিভাগের রায় স্থগিত করে বহুতল ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য তিনবছর সময় চাওয়া হয়েছিল। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের পেছনে হাতিরঝিলের পশ্চিম অংশে অবস্থিত বিজিএমইএ-এর ১৬তলা ভবনটি অবিলম্বের সংগঠনের নিজ খরচায় ভেঙে ফেলতে রায় দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ আদালত। আদালতের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় গত বছরের ৮ নভেম্বর প্রকাশিত হয়।
২০১১ সালে হাইকোর্টের রায়ে ওই ভবনটিকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। এই লিভ টু আপিল খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। সম্পাদনা: কিরণ সেখ