আজ হোক কাল হোক তিস্তা চুক্তি একদিন হবে : পানি সম্পদমন্ত্রী
আজাদ হোসেন সুমন: পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, আজ হোক কাল হোক, তিস্তা চুক্তি একদিন হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, নানা জটিলতার কারণে এতোদিন তিস্তা চুক্তি সম্ভব হয়নি। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ দুজনই তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে গেছেন উল্লেখ করে পানি সম্পদমন্ত্রী আরো বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রী যেহেতু আগ্রহ প্রকাশ করেছেন- সেটা হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে এ নিয়ে কোনো এজেন্ডা থাকবে কিনা বা এ চুক্তির কোনো অগ্রগতি হবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা আশাবাদী নিশ্চয়ই এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবরই সচেষ্ট। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তিস্তা চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকায় গঙ্গা ব্যারাজের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা দুটো বিষয়েই গুরুত্ব দিচ্ছি। সেভাবেই চেষ্টা করা হচ্ছে। ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানীর সঞ্চালনায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর-রুনী মিলনায়তনে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। মন্ত্রণালয়ের যেখানে যে সমস্যা দেখা দিচ্ছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আরও বলেন, আমি সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছি। আমার নিজের উপর আমার আস্থা ও বিশ্বাস রেখে কাজ করছি। এখনো কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। ওপরের কোন স্থান বা স্তর থেকে কোনো চাপ আসছে না। তিনি বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পরই দুর্নীতির দিকে নজর দেই। প্রথম দিকে কিছু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলেও এখন আর কোনো সমস্যা হচ্ছে না দাবি করে তিনি বলেন, আমি একটা জিনিস চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, অলমোস্ট ৯৫ শতাংশের ওপরে চুরি আমরা বন্ধ করতে পেরেছি। শুধু তাই নয়, আমরা যে ব্লকগুলো ব্যবহার করতাম তার কোয়ালিটি নিয়ে এখন আর কোনো প্রশ্ন নেই। তিনি আরো বলেন, এখনো কিছুটা অস্বচ্ছতা আছে। তবে সেটা ধরার মধ্যে পড়ে না। আর তাছাড়া শতভাগ দুর্নীতি বা অনিয়ম পৃথিবীর কোথাও বন্ধ করা যায়নি। আমরাও পারিনি। তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের তৎপরতা অব্যাহত আছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সবকিছুতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ফিরে এসেছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, আমি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ১২ জনের চাকরি খেয়েছি। এটা খুব একটা ইজি ছিল না। আনফরচুনেটলি নট এ সিঙ্গেল কেস ওয়েন্ট টু দ্য কোর্ট। একটা কেসও কিন্তু কোর্টে যায়নি। কেউ কোর্টে গিয়ে বলে নাই এমন ঘটনা ঘটেছে বা কোর্ট থেকে আমাদের কাছে কোনো আদেশ আসেনি। যেখানেই অস্বচ্ছতা দেখছি, সেখানেই ধরা হচ্ছে এবং যত দূর পারি ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ব্যাপারে আমি বলতে পারি, আমার ওপর কোনো পলিটিক্যাল পেসার আসেনি। কোনো জায়গা থেকে বা কোনো স্তর থেকে আমার ওপর কোন পলিটিক্যাল পেসার আসে না। আমি পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে স্বস্তির সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি। তারপরও যদি কোনো ব্যর্থতা থাকে, তার জন্য আমি দায়ি। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু