কিরণ সেখ: যে আইন দেশের মানুষের উপকারে আসে না সেটা আইন নয় বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইনের (আরপিও) রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিলসংক্রান্ত ধারার বিষয়ে কথা হচ্ছে। এই আইন মানুষের উপকারের জন্য। কিন্তু যে আইন মানুষের উপকারে আসে না, সেটা কোনো আইন নয়।
গতকাল সোমবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম যৌথভাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১১তম কারাবন্দি দিবস’ শীর্ষক এ সভায় তিনি বলেন, ছাত্র সমাজকেই দেশের বর্তমান সংকটে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে। এ জন্য আবারো ছাত্র সমাজকে জেগে উঠতে হবে। আর আন্দোলনের মাধ্যমেই দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ সমস্যা শুধু একা তারেক রহমানের নয়, সমস্ত দেশের মানুষের সমস্যা। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারেক রহমানের কারাবন্দি দিবস পালন করলেই শুধু হবে না। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। তারেক রহমান সুদূরপ্রসারী চক্রান্তের শিকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা মধ্যে দিয়ে এ ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এরপর স্বৈরাচার ক্ষমতা দখল করেন। পরবতির্তে ১/১১ সরকার অবৈধ ক্ষমতায় আসে। তারা ক্ষমতা দখল করে প্রথম আক্রমণ করে তারেক রহমানকে। তাই এগুলো বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়। আর দেশে সংকটের অন্যতম প্রধান কারণ এটাই- বলেন মির্জা ফখরুল। বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। সুতরাং তাদের সঙ্গে গণতন্ত্র যায় না। কারণ তারা সকল গণতান্ত্রিক মানুষকে কারাগারে বন্দি করেছে। ফলে দেশে কোন নাগরিকের অধিকার নেই- বলেন তিনি। বলেন, এদেশের মানুষ কোন অন্যায় মেনে নেয় না। বর্তমান সরকারেরও অন্যায় মেনে নেবে না। সুতরাং তাদের এ অন্যায় জুলুম কিছু সময়ের জন্য। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতেই হবে। এর মধ্যে দিয়ে প্রমান হয়, দেশে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।
বাংলাদেশ ছাত্র ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ’র সভাপতিত্বে এতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন। সম্পাদনা: রাশিদ