উম্মুল ওয়ারা সুইটি : একটা সময় ছিল যখন, নারীদের পক্ষে নারীরাই কথা বলতো। নারী নির্যাতন হলে পুরুষরা চুপ করে থাকতো। এখন সেই সময়টা আস্তো আস্তে পাল্টাচ্ছে। পুরুষরাও নারীর স্বাধীনতা ও নারীর অধিকার আদায়ের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। পরিবারেও কন্যা শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে। এখন তৃণমূল থেকেও কণ্যা শিশুদের প্রতি সমাজ ইতিবাচক হয়ে উঠছে।
দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেছেন, নারীর পক্ষে শুধু নারী নয়Ñ পুরুষদেরও কথা বলতে হবে। মনে রাখতে হতে, নারী পিছিয়ে থাকা মানে শুধু নারী পিছিয়ে থাকা নয়। এর অর্থ হলো পুরো সমাজ পিছিয়ে থাকা এবং দেশ পিছিয়ে পড়া।
সুজনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন হতে হবেÑ তৃণমূল থেকে। তাই আমরা স্থানীয় সরকারে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে কাজ করছি। এখন তৃণমূলে নারীরা অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের নারী মেম্বাররা তৃণমূলের নারীদের জন্য কাজ করছে। তবে তৃণমূলে নারীর রাজনৈতিক অংশ গ্রহণ আরো বাড়াতে হবে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, নারীর পক্ষে তো শুধু নারী ভোকাল হলে হবেনা। নারী উন্নয়ন এবং নারীর অধিকার আদায় শুধু নারীর জন্য নয়। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। এই অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে পশ্চাদপদ রেখে নারী দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। দেশকে সত্যিকার অর্থে গতিশীর করতে হলে, নারীর উন্নয়ন দরকার। নারীকে এগিয়ে দিতে পুরুষদের এগিয়ে আসতে হবে।