নারীকে করুনা নয়, যোগ্যতা দক্ষতা ও মেধারভিত্তিতে মূল্যায়ণ করতে হবে : রাশেদা বেগম হীরা
শাহানুজ্জামান টিটু : বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালিন সেই সময় নারীর ক্ষমতায়ন ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় অনেক ভালো কাজ হয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু আইন করা হয়েছে। আগামীতে ক্ষমতায় আসলে নারী উন্নয়নে আরো নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। নারী সুরক্ষায় যে আইনগুলো আছে তা আরো সময়পযোগী করা হবে। নারীকে করুনা নয় তাদের যোগ্যতা, দক্ষতা ও মেধারভিত্তিতে সকলস্তরে মূল্যায়ণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর্ন্তজাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দেওয়া সাক্ষাতকারে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি রাশেদা বেগম হীরা এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেত্রী বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর এসিড নিক্ষেপ প্রতিরোধে একাধিক ভালো আইন করা হয়েছে। এটা শুধু নয় এসিড ক্রয় বিক্রয় ওপরে একটা নিয়ন্ত্রণমুলক আইন করা হয়েছিলো। এই আইনগুলো পরে পাকিস্তানও ফলো করেছে। সেই সময় নারীর উপর এতো এসিড নিক্ষেপ শুরু হয়েছিলো যা ওই দুটি আইন হওয়ার পর এসিড নিক্ষেপ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে।
বিএনপি নারী শিক্ষার উপর অধিকগুরুত্ব দিয়েছে এ মন্তব্য করে রাশেদা বেগম বলেন, নারীদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে। এই কর্মসুচি গ্রহণ করার পর মেয়েদের শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক একটা পরির্বতন এসেছে। উপবৃত্তি দেওয়ার কারণে মেয়েদেরকে একেবারে ঘর থেকে বের করে আনা হয়। ফলে প্র্ইামারি পর্যায়ে একটা জেন্ডার সমতা আসে। যা সারাবিশ্বের জন্য একটা রের্কড তৈরি হয়েছে এবং এই পদক্ষেপ একটা মডেল হিসেবে নিয়েছে। তিনি বলেন, আর মা বোনেরা দেখলো মেয়েকে স্কুলে পাঠালে তারা আবার টাকাও পাচ্ছে। এবং তখন তারা মেযেদেরকে স্কুলে পাঠনোর শুরু করে। এটা ছিলো পুস সেলের মত একটা ব্যবস্থা। এবং তখন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন ছেলে মেয়েকে স্কুলে পাঠানো আপনার দায়িত্ব তাদের খরচ যোগাবে সরকার।
তিনি বলেন, নারী শিক্ষাকে আরো বেশী গুরুত্ব দিতে উপবৃত্তির পাশাপাশি ফুড ফর এডুকেশন কর্মসুচিও গ্রহণ করা হয়। ওই সময়ের পদক্ষেপ নারী শিক্ষায় একটি ভিত তৈরি হয়েছে। এখন প্রতিটি ঘরে মেয়েরা লেখাপড়ার সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছে।
বিএনপি ক্ষমতায় আসলে নারীদের জন্য নতুন কোনো উদ্যোগ নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ক্ষমতায়ণের ক্ষেত্রে আমরা মেয়েদেরকে যেভাবে দেখতে চাই, সংসদে একটা বিল আনতে চেয়েছিলাম কোটাভিত্তিক পদ্ধতিটা বাদ দিয়ে সমতা আনার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ সহযোগিতা করেনি। আমরা বার বার ব্যর্থ হয়েছি। আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছি ৬০ভাগ মেয়েকে আমরা সংসদে নিয়ে আসব তখন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান বললেন তারা আরো বেশি বাড়িয়ে বললেন। কিন্তু উনারা যখন ক্ষমতায় আসলো উনারা সেটা করলেন না। উনারা আগের আমাদের করা ৪৫ আসনের সংগে পাঁচজন বাড়ালেন। উনারা প্রতিবারই বলেন বেশী কিন্ত করেন কম। নারী ক্ষমতায়ণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সবগুলো দলকে একমত ও এক হয়ে করতে হবে। যদি সবদল একমত হয় যায় তাহলে কাজগুলো খুব সহজে দ্রুত হয়ে যায়।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, আমরা যখন ক্ষমতায় যাবো তখন একবারেই স্ব উদ্যোগে তৃণমুল থেকে যে সমস্যাগুলো আমরা মেকাবেলা করে একটা পর্যায়ে এসেছে সেখান থেকে আরো ভালো পর্যায়ের নেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা তো থাকবেই। মেয়েদের জন্য করুনা তাদের ভালো জীবন যাপনের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন শুধু যোগ্যতা নয়। একটা দলের অস্তিত্ব এখন মেয়েদের ওপর নির্ভর করছে। সম্পাদনা: নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী