পাকিস্তান-আফগান সীমান্ত অতিক্রমের জন্য মানুষের উপচে পড়া ভিড়
ইমরুল শাহেদ: পাকিস্তান সাময়িকভাবে আফগান-পাকিস্তান সীমান্তের দুটি প্রধান ফটক খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই পাশে আটকে পড়া প্রায় ২০ হাজার মানুষ তাৎক্ষণিকভাবে সীমান্তে ভিড় জমায়। পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ধারাবাহিকভাবে জঙ্গি হামলার কারণে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আফগান-পাকিস্তান সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। এ সময় পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১২৫ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়। পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, আফগানিস্তান থেকেই এসব হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু কাবুল এই অভিযোগ অস্বীকার করে। নিউজ অস্ট্রেলিয়া, পার্সটুডে
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ‘তোরখাম’ ক্রসিং দিয়ে ২,৯০০ আফগান নাগরিক তাদের দেশে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে ফিরেছেন ৫৫০ ব্যক্তি। দুদেশের অপর প্রধান সীমান্ত ক্রসিং চামানের এ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
তোরখাম ক্রসিংয়ের পাকিস্তানি কর্মকর্তা ফয়েজ খান বলেছেন, ‘বুধবার এই ক্রসিং বন্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত আরও সীমান্ত অতিক্রম করেছেন।’
আফগানিস্তান বলেছে, সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার ফলে দেশটির অন্তত ২৫,০০০ নাগরিক পাকিস্তানে আটকা পড়েছে। দুদেশের নাগরিকরা পরস্পরের দেশে থাকা নিজেদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে একে অন্যের দেশ ভ্রমণ করে। এ ছাড়া, উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যেও প্রতি মাসে শতশত আফগান নাগরিক পাকিস্তানে পাড়ি জমায়। পার্সটুডে জানিয়েছে, বুধবার আবার দুটি ক্রসিং খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু একদিন বা দুদিনে আটকে পড়া হাজার হাজার মানুষের পক্ষে সীমান্ত অতিক্রম করা সম্ভব হবে না বলে অনেকে মনে করছেন। এভাবে সীমান্ত বন্ধ করে রাখলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে বিভিন্ন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করার পর তোরখাম ও চামান ক্রসিং খুলে দিল পাকিস্তান। সম্পাদনা: রাশিদ